২০১৫ সালে ইন্টারনেটে তালাশ করা ১০ পর্নো তারকা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে নানান ভাবে, নানান প্রয়োজনে। তথ্যউপাত্ত পেতে ইন্টারনেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। ব্যবহারকারীরা গত বছর পছন্দের রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড়, চলচ্চিত্র তারকা বা পর্নো তারকাকে হরদম সার্চ করেছেন ইন্টারনেটে। পর্নো তারকাদের সার্চের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন লেবাননে জন্মগ্রহণকারী মিয়া খলিফা। ভারতীয় সিনেমার বর্তমান তারকা সানি লিওনের ঠাঁই হয়েছে টপ-১০ সার্চের তালিকায়। নিচে সার্চ করা টপ-১০ পর্নো তারকার তালিকা দেওয়া হলো।
১০. অ্যালেক্সি টেক্সাস
২০০৬ সালে স্পেনের বিশ্ব অপেশাদার কলেজের এক ভ্রমণ অনুষ্ঠানে টেক্সাস তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। অ্যালেক্স একজন তারকা হয়ে ওঠেন ধীরে ধীরে। গত বছরের সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজের হিসাবে তার রেটিং দশম।
৯. সাশা গ্রে
পর্নো ইন্ডাস্ট্রিতে গ্রে একজন বিখ্যাত নাম এবং নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপনের জন্যই তার খ্যাতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ধরা হয়। পর্নো ছবিতে কাজ করার পাশাপাশি জনপ্রিয় টেলিভিশন শোগুলোতেও তাকে দেখা যায়।
৮. সানি লিওন
পর্নো জগতে খ্যাতির কারণে সানির বেশ পুরস্কার রয়েছে। পেনথাউস পেট নামে খেতাব পান ২০০৩ সালে এবং শীর্ষ ১২ জনের একজন নির্বাচিত হন। বর্তমানে সানিকে দেখা যেতে পারে ভারতীয় রিয়েলিটি শো স্পিটভিলার হোস্ট হিসেবে।
৭. আগস্ট এমিস
ক্যারিয়ার শুরুর আগে এমিস কাজ করতেন একটি ট্যানিং সেলুনে, যেখানে কৃত্রিমভাবে মানুষকে তাপ দিয়ে তামাটে করানো হয়। ২০১৩ সালে এমিস তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি একজন কানাডীয় নাগরিক। ২০১৫ সালে তিনি শীর্ষ তালিকার সপ্তম স্থানে উঠে আসেন।
৬. ব্র্যান্ডি লাভ
স্টক ব্যবসায়ী জেসি লেরিস্টোনের নাতনি ব্র্যান্ডি বড় হন আমেরিকার মিসিগানে। মাত্র তিন বছর বয়সেই তিনি নাচে বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তিনি স্কেটিং করা শুরু করেন মাত্র চার বছর বয়সেই। ২০০৪ সালে ওয়েবসাইটে নিজের ছবি পোস্ট করার মাধ্যমে পর্নো জগতে তার পদার্পণ। ২০১৫ সালের ইন্টারনেটে খোঁজের তালিকায় তিনি ৬ নম্বরে উঠে এসেছেন।
৫. কিম কারদাসিয়ান
তাকে সাধারণত পর্নো তারকা বলা যায় না। তিনি ওয়েস্ট লাইফ নামে একটি ব্যবসাসফল সিনেমা করেন, যা তার খ্যাতির কারণ। ২০০৭ সালে পর্নো জগতে আসেন কিম। কিমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি মাসে প্রায় ৬০ লাখের মতো ভিজিটর পায়।
৪. আশা আকিরা
এ পেশায় যোগদান করেন যখন তার বয়স তখন মাত্র ১৯। ছোটবেলা থেকেই আশার স্বপ্ন ছিল তিনি মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করবেন।
৩. মেডিসন আইভি
আইভি ১৯৮৯ সালে জার্মানির বায়ার্ন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে এক সময় ইন-এন-আউট বার্গারে কাজ করতেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রথম পর্নো ছবিতে অভিনয় করা আইভি গত বছরের হিসাবে তৃতীয় নির্বাচিত হন।
২. লিজা অ্যান
১৯৭২ সালে আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করা এ পর্নো তারকা ২০১৫ সালে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনের তালিকায় দ্বিতীয়তে অবস্থান করছেন। এইডস আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ১৯৯৭ সালে তিনি পর্নেঅ ছবিতে অভিনয় করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আবার অভিনয় শুরু করেন।
১. মিয়া খলিফা
লেবাননের বৈরুতে জন্মগ্রহণ করা মিয়া তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। ধর্মে খ্রীষ্টান ক্যাথলিক হলেও তিনি কখনো ধর্ম পালন করেননি। তাকে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় নিজ দেশ লেবানন থেকে। ইসলামী পোশাক পরে পর্নো ছবিতে অভিনয় করার জন্য বেশ কয়েকবার সমালোচিত হন মিয়া।
(দ্য রিপোর্ট/এআরআই/এজেড/জানুয়ারি ০৬, ২০১৬)