বেনাপোলে আবারও মিথ্যা ঘোষণায় কাপড় আমদানি
বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা : ৬ কোটি টাকার কাপড় আটকের রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার আবারও বন্ডের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে কাপড় আমদানি করা হয়েছে। ২৫ লাখ টাকার ওই কাপড়ের চালান বেনাপোল বন্দরের ২৬ নাম্বার শেড থেকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
এর আগে, গত সোমবার বন্ডের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৬ কোটি টাকার কাপড় আটকের ঘটনা ঘটে।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ার আমদানিকারক দেইশ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ভারতের কোলকাতার সুন্দরী ফ্যাশন নামের একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে গত ১৯ ডিসেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০০ বেল কাপড় আমদানি করে বন্ডের মাধ্যমে। পণ্য চালানটি খালাস নেওয়ার জন্য ১৯ জানুয়ারি বেনাপোল কাস্টমসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়, যার নাম্বার সি-২৭৫৭। চালানটি বন্দরের ২৬ নাম্বার শেডে সংরক্ষণ করা হয়। চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল হলি কার্গো এক্সপ্রেস নামে একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পণ্য চালানটি সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে। ফেব্রিক্স এর পরিবর্তে বন্ডের শর্ত ভঙ্গ করে আমদানি নিষিদ্ধ জর্জেট, সিল্ক, সিনথেটিক, মিক্সড ফেব্রিকস, এম্ব্রয়ডারি করা ও কাটপিচ কাপড় পাওয়া যায়। চালানটি বুধবার সকালে আটক করে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পণ্য চালানের কাস্টমস শুল্কায়ন মূল্য ১১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার হওয়ার কথা থাকলেও আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৮ হাজার ডলার। পণ্যটির মূল্যসহ শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা বলে শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়।
ঢাকাস্থ শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নিয়মানুযায়ী বন্ডের মাধ্যমে ১৮ মিটারের নীচে কোনও কাপড় আমদানি করা যায় না। কিন্তু এই চালানে ১৮ মিটারের নিচে কাটপিচ পাওয়ায় চালানটি আটক করা হয়। বন্ডের মাধ্যমে কাটপিচ কাপড় আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছিল।
(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এমএআর/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)