দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জাবি শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০১৪-এর নির্বাচনে আওয়ামী-বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট সাধারণ শিক্ষক ফোরাম জয়লাভ করেছে।

সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৫টি পদের প্রত্যেকটি পদেই জয় পেয়েছে সাধারণ শিক্ষক ফোরাম। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একই প্যানেল থেকে ১৫টি পদের প্রার্থীরা সবকটিতে বিজয়ী হল।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্লাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আক্তার আহমদ এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে ৪৭১টি ভোটের বিপরীতে ৪৪২টি ভোট গৃহীত হয়। সাধারণ শিক্ষক ফোরামের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ২৬৪টি ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নঈম সুলতান পেয়েছেন ১৬৬ ভোট। অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান ২৩৯টি ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মালিহা নার্গিস আহমদ পান ১৮৬ ভোট। যুগ্মসম্পাদক পদে সাধারণ শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক আবু সাঈদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান ১৫৬ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষক কৌশিক সাহা ২৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক মো. ফজলুল করীম পাটোয়ারী পেয়েছেন ১৬০ ভোট । মোট ১৫টি পদের ৯ টিতে আওয়ামীপন্থী ও ৬টিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকগণ বিজয়ী হয়েছেন।

এ ছাড়া ১০টি নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক কবিরুল বাশার, অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক মো. খালিদ কুদ্দুস, সহযোগী অধ্যাপক মাসুদা পারভীন, অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান ও অধ্যাপক শাহেদুর রহমান। এদের সবাই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক।

নির্বাচন প্রসঙ্গে অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, শিক্ষক সমিতির মত একটি সংগঠনকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে। আমি শিক্ষকদের স্বার্থে কথা বলবো। তিনি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও তার অনুসারী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, এখন তো বুঝেছেন কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুটিকয়েক এবং কারা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছি এবং সবাই ফলাফল মেনে নিয়েছেন। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে পরাজিত মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিবাদী চেতনায় বিশ্বাসী জোট এবং স্বতন্ত্র শিক্ষকদের সম্মিলিত প্যানেলের সকল প্রার্থী সদ্য পদত্যাগ করা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনপন্থী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এপি/ এনআই/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)