পণ্য রফতানি সুবিধা কাজে লাগানোর গুরুত্ব দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রফতানির যে সুবিধা পাওয়া গেছে সেটাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এটাকে কাজে লাগানো গেলে ভারতে বাংলাদেশের রফতানি ১শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৬ কোটি ডলার।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তামাক ও অ্যালকোহলসহ ২৫টি পণ্য ছাড়া ভারত বাংলাদেশের সব পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে। কিন্তু এ সুবিধা দিলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার রয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য সমস্যাগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো সমাধানের জন্য খুব শিগগিরই দু’দেশের সচিব পর্যায়ে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হবে এবং সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তোফায়েল বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ রফতানি করে বেশি। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা হয় বেশি। এ কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি। আবার ভারত থেকে পণ্য আমদানির কারণে বাংলাদেশ লাভবানও হয়ে থাকে।
ভারতে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানো প্রসঙ্গে পঙ্কজ শরণ বলেন, ভারতে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানোর জন্য আমাদের সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশের রফতানি বেড়েছে। তারপরও গ্যাপটা একটু বেশি। এটা কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সেজন্য আগামী দু’মাসের মধ্যে দু’দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে কানেক্টিভিটি বাড়ানো ও সীমান্তে অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, এ ছাড়া বাংলাদেশে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারতের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করে বাইরে পণ্য রফতানির সুবিধা নিতে পারে।
নতুন আঞ্চলিক জোট বিসিআইএম :
বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার চারটি দেশের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত নতুন আঞ্চলিক জোট ‘বিসিআইএম’-এর প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখন ফাইনাল স্টেজে রয়েছে। এটা নিয়েও ভারতীয় হাই-কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটা হলে সার্কের চেয়েও লাভবান হবে বাংলাদেশ। এর ফলে কানেক্টিভিটি বাড়বে। আর কানেক্টিভিটি বাড়লে বাংলাদেশের রফতানি ও দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কানেক্টিভিটি আর ট্রানজিট এক নয়।’
ইলিশ রফতানির বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি :
এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ জানান, ‘ভারতে ইলিশ রফতানির বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত এক বছর ধরে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকলেও কার্যত ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়নি। ইনফরমাল ভাবে ইলিশ যাচ্ছে সেখানে। ইনফরমালভাবে যদি যায়, তাহলে ফরমাল গেলে আপত্তি কোথায়?’
(দ্য রিপোর্ট /এসআর /এমডি/জানুয়ারি ৩০, ২০১৪)