চট্টগ্রাম অফিস : ইসলামি শক্তিকে ধ্বংস করে ইসলামি রাজনীতি বন্ধ করার চেষ্টা করা হলে সরকারকে সময়োপযোগী জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। একই সঙ্গে সরকার কওমি মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র করলে দেশের সব ইসলামি শক্তি নিয়ে হেফাজতে ইসলাম আবারও মাঠে নামবে বলেও জানান তারা।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ইসলামি মহাসম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘মার্কিন এবং দিল্লির মদদে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ইসলামি দলগুলোকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। যদি ইসলামি শক্তিকে ধ্বংস করার চেষ্টা এবং ইসলামি রাজনীতি বন্ধের চেষ্টা করা হয়, তাহলে সরকারকে কঠিন জবাব দেওয়া হবে।’

সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ করলেন, ‘দেশের ইসলামি সংগঠনগুলোকে জঙ্গিবাদী-বোমাবাজ আখ্যায়িত করে সরকার বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাছে।’

তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘এ দেশের ইসলামি ব্যক্তিরা কোনো জঙ্গিবাদী কিংবা বোমাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়। জঙ্গিবাদ, বোমাবাজদের খোঁজার জন্য মসজিদ-মাদ্রাসা নয়, কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের খুঁজুন।’

ব্লগারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘না বুঝে আল্লাহ, রাসূল (স.) এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কার্টুন, লেখা কিংবা ব্লগে লিখবেন না। এর জন্য কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সম্মেলনে ভারতের বিখ্যাত দুই আলেম উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ভিসা জটিলতায় তারা বাংলাদেশে আসতে পারেননি বলে জানান হেফাজত নেতৃবৃন্দ। দুই দিনের সম্মেলনে শুক্রবার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

প্রথম দিনে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, মহানগর সভাপতি ও নায়েবে আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/জেএস/এপি/এম/জানুয়ারি ১৪, ২০১৬)