‘ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধের সাহস দেখাবে না’
চট্টগ্রাম অফিস : চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমদ বলেছেন, চোরাচালান আইনের ২৫/বি(১) ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ আসামিকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং অস্ত্র আইনের ১৯(এফ) ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় একই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন ও ১৯(সি) ধারায় প্রমাণিত অপরাধে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
রায় ঘোষণা শেষে নিজের কক্ষে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরও বলেন, এ রায়ে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধে জড়িত হওয়ার সাহস দেখাবে না। মামলার মূল আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় এসেছে।
তিনি বলেন, আদালতের পর্যবেক্ষণে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। আসামিপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ মামলা হয়রানিমূলক। কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সাক্ষী করা হয়নি। সাক্ষীদের প্রায় সকলে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা। এদের সাক্ষীতেই আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্রের চালানটি আনা হয়েছিল ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য। একটি কালো কাপড়ে ঢাকা জাহাজে করে অস্ত্রগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় এনে এফবি খাজার দান ও এফবি শাহ আমানত নামের মাছ ধরার নৌকায় ভর্তি করে সিইউএফএল জেটিতে খালাস করা হয়। কালো কাপড়ে ঢাকা জাহাজটি চলে যাওয়ায় সেটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার মতে, অস্ত্রগুলো ধরা না পড়লে ভারতে যেত। এ অস্ত্রগুলো সরবরাহ করে চীনের নরেকো নামের একটি কোম্পানি।
পিপি কামাল উদ্দিন বলেন, আদালত বলেছেন অস্ত্র ও চোরাচালানের উভয় মামলা সাধারণ মামলা হিসেবে দেখার কোনও সুযোগ নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের অস্ত্রের চালানের নজির নেই। তাই উভয় মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমকে/এমএআর/আরকে/জানুয়ারি ৩০, ২০১৪)