চট্টগ্রাম অফিস : দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা ও নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে নৌ মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কমিটির ৩০তম সভা নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম মহানগরীর খালও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে যেকোনো মূল্যে। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দখল ও দূষণমুক্ত করতে না পারলে কর্ণফুলীর অবস্থাও বুড়িগঙ্গার মতো হবে। যদি তাই হয় তাহলে চট্টগ্রামের বন্দরের অস্তিত্ব ও হুমকির মুখে পড়বে, এই পরিস্থিতি থেকে কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রাকৃতিক খালসমূহ দখল ও দূষণমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় যত প্রচেষ্টা নেওয়া হোক না কেন চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসণ করা যাবে না।’

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতে পিএস জরিপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ হবে। এ ছাড়া নৌ-রুটের নিরাপত্তা রক্ষায় কাপ্তাই হ্রদে বিআইডব্লিউটিএ খনন করবে।’

সভায় গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নদী পাড়ের দখলদারদের উচ্ছেদের পর তারা আবার সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে। এ ব্যাপারে তিনি সরকারি সংস্থাগুলোকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন।’

কর্ণফুলী নদীকে বাঁচাতে পিএস জরিপের ভিত্তিতে নদীর সীমানা নির্ধারণ ও দখদারদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

সভায় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, নৌ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায়, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, নৌ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আকরাম হোসেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. এনামুল কাদের খান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক রইছ উল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমীন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহরিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসবি/সা/জানুয়ারি ১৬, ২০১৬)