লাইসেন্স ডিসি অফিসে দেওয়ার বিরোধিতা ক্যাবল অপারেটরদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ক্যাবল টিভির লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্ব ডিসি (জেলা প্রশাসক) অফিসের দেওয়ার প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছেন ক্যাবল টিভির অপারেটরা। তারা কমিউনিটি চ্যানেল পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে আবারও তুলেছেন ডিটিএইচ (ক্যাবল ছাড়া স্যাটেলাইট টিভি দেখার প্রযুক্তি) লাইসেন্স বাতিলের দাবি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ক্যাবল নেটওয়ার্ক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ দাবি জানান।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর হোসাইন আখতার এ সব দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপিও মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। তিনি বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বলেন, ক্যাবল টিভির লাইসেন্স ডিসি অফিসের মাধ্যমে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ জন্য আমরা শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। এটা করা হলে ক্যাবল ব্যবসা অশুভ রাজনীতি ও সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, বিশৃঙ্খলা হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ লাইসেন্স দেওয়ার বর্তমান পদ্ধতি চালু রাখার দাবি জানান তারা।
ডিটিএইচ-এর বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু ডিটিএইচ চালু হলে এ ক্যাবল টিভি খাতের লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ক্যাবল টিভির সঙ্গে সমন্বয় করে একটি নীতিমালা প্রণয়নের আগ পর্যন্ত এটা বন্ধ রাখা হোক।
কমিউনিটি টিভির লাইসেন্স দেওয়ার দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান মাত্র ৫০০ টাকায় এখানে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারছে। এটা চালাই বলে পুলিশ হুমকি দেয়। লাইসেন্সের মাধ্যমে কমিউনিটি টিভির লাইসেন্স দেওয়া হলে সরকার এখান থেকে অনেক রাজস্ব পাবে।
একই সঙ্গে সভায় চ্যানেল পরিবহন মাশুল আদায়ের ব্যবস্থা, যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে কর রেয়াত, ক্যাবল অপারেটরকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা, পে-চ্যানেল কোম্পানির রেট নির্ধারণ করে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
তথ্যমন্ত্রী দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ক্যাবল অপারেটরা যাতে সহজে, গতিশীলতার সঙ্গে ও হয়রানিমুক্তভাবে ব্যবসা করতে পারে সে জন্য যা করণীয় সরকার তা করবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/জেএম/সা/জানুয়ারি ৩০, ২০১৪)