চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির হাটহাজারী আস্তানা থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া তিন আসামিকে দুই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসাদ্দেক মিনহাজ মঙ্গলবার বিকালে শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে, পুলিশ হাটহাজারী থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন আইনের দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

তিন জেএমবি সদস্য হলেন— নাইমুর রহমান নয়ন, ফয়সাল মাহমুদ ও মো. শওকত রাসেল। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যা বিভাগের ছাত্র ছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) সালাউদ্দিন চৌধুরী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি মামলায় আগে রিমান্ড হয়েছিল। বাকি দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে নগরীর কসমোপলিটন এলাকা থেকে মো. শওকত রাসেল, কাজীর দেউড়ি থেকে নাইমুর রহমান ও নালাপাড়া থেকে ফয়সাল মাহমুদকে আটকের পর পুলিশ তাদের নিয়ে মধ্যরাতে হাটহাজারী উপজেলাধীন সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জয়নব কমিউনিটি সেন্টারের পেছনে হাজী ইছহাক ম্যানশন নামের একটি দোতলা বাড়িতে অভিযান চালায়। এ বাড়িতেই জেএমবির সাময়িক কমান্ডার ফারদিন ওরফে পিয়াস আস্তানা গড়েছিল।

রাতভর অভিযানে গোয়েন্দা পুলিশ ওই বাড়ি থেকে আমেরিকার তৈরি একটি এমকে-১১ স্নাইপার রাইফেল, ১৯০ রাউন্ড গুলি, ১০টি ডেটোনেটর, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, দুই কেজি জেল এক্সপ্লোসিভ, সোনাবাহিনীর ১২ সেট পোশাক, নেমপ্লেট ও র‌্যাংক ব্যাজ, ডায়েরি, মানচিত্র ও সাংগঠনিক বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করে।

২৭ ডিসেম্বর রাতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের পৃথক ধারায় পৃথকভাবে তিনটি মামলা দায়ের করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফররুখ আহমেদ মিনহাজ। এতে গ্রেফতার তিনজনসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএআর/সা/জানুয়ারি ১৯, ২০১৬)