দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ওপর থেকে সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও মামলা তুলে নিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। তসলিমা নাসরিনের লেখা নতুন বই ‘নিষিদ্ধ’ এর মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আগামী প্রকাশনী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি।

তিনি তসলিমার অতীত ও কর্মজীবন তুলে ধরে বলেন, ‘দীর্ঘ কুড়ি বছর নির্বাসন জীবন-যাপন করছেন তসলিমা। বাংলাদেশে ইসলামের নামে কত ব্যবসা হচ্ছে। কিন্তু না বুঝে তসলিমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

মৌলিক অধিকার ও মুক্ত চিন্তার অধিকার সবার আছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘তসলিমা নাসরিন পুরুষতন্ত্র ও ধর্মীয় মৌলবাদের স্বীকার। এই দু’টি কারণেই তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।

সরকারকে উদ্দেশ করে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘কোন কারণে, কোন আইনে তসলিমা নাসরিনকে দেশে ফিরতে পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না তা আমাদের জানাতে হবে। আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্ব্বোত্তম চেষ্টা করব।’

মারুফ রসুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল, তাদের ইশতেহার ও গোলাম আযমের আত্মজীবনী বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয় না কিন্তু তসলিমা নাসরিনের বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। মুক্ত চিন্তা ও কথা বলার অধিকার সবার আছে।’

১৯৯৩ সালের ৮ আগস্ট তসলিমা নাসরিন দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন। তৎকালীন বিএনপি সরকার তার বই নিষদ্ধিসহ তার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এসবি/সা/জানুয়ারি ৩০, ২০১৪)