খাদ্য অধিফতরের মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোকে অবৈধ ঘোষণা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : খাদ্য অধিদফতরের ৮ শতাধিক পদের নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক এই রায় দেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জেড আই খান পান্না রিট আবেদনটি দায়ের করেন। আদালতে আবেদনকারী পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক।
অপরদিকে খাদ্য অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেছিল আদালত।
আবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর খাদ্য অধিদফতর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ৩২৮ জন খাদ্য পরিদর্শক, ১৭৫ জন উপ-খাদ্য পরিদর্শক ও ৪০৩ জন সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক নিয়োগের কথা রয়েছে।
‘বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর খাদ্য পরিদর্শক ও উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদের লিখিত পরীক্ষা হয়। ২০১২ সালের ২৫ মে সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শক পদের লিখিত পরীক্ষা হয়।’
‘বিজ্ঞপ্তিতে ৮০ শতাংশ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ২০ শতাংশ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার নিয়ম ছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ২০১৩ সালের জুনে ওই নিয়ম বদলে লিখিত পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ ও মৌখিক পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়ার নিয়ম করা হয়।’
রিট আবেদনে আরও বলা হয়, এই তিন পদের বাইরে আরও কয়েক ধরনের পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। যেখানে মৌখিক পরীক্ষায় ২০ শতাংশ নম্বরই দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের মামলা বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে আর হয়নি। ভারতে এ ধরনের অনেক মামলা রয়েছে।
‘লিখিত পরীক্ষার পর নম্বর কমিয়ে মৌখিকে নম্বর বাড়ানো হয়েছে অসৎ উদ্দেশে। এ কারণে আমরা জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছি। আদালত নম্বর বণ্টনকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এসবি/সা/জানুয়ারি ৩০, ২০১৪)