তদন্ত কমিটি গঠন : দিনভর বিক্ষোভ-মানববন্ধন
স্কুলছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় উত্তপ্ত স্কলাসটিকা
চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটার সেন্ট স্কলাসটিকা স্কুলে (গির্জা স্কুল) নির্মাণ শ্রমিক কর্তৃক দুই স্কুলছাত্রীর যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবারও দিনভর বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
ছাত্রীদের নিপীড়নকারী নির্মাণ শ্রমিকদের গ্রেফতার এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করে অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছেন।
কর্মসূচি চলাকালে বুধবার সেন্ট স্কলাসটিকার প্রধান শিক্ষকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, গত তিন দিন ধরে স্কুলটির ভেতরে দুই শিশুছাত্রী ধর্ষণ এবং একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক মহলে আতঙ্ক-উদ্বেগ ছড়ি পড়ে। মঙ্গলবার দিনভর শত শত অভিভাবক স্কুলটি ঘেরাও করে ভাঙচুরের চেষ্টা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় আগামী রবিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আসলে ধর্ষণের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা অভিভাবকদের এ অভিযোগ তদন্ত করে দেখেছি। তবে নির্মাণ শ্রমিকরা দুই ছাত্রীর গায়ে হাত দিয়েছে, মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানি করেছে। এ ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা এবং স্কুলের হেড ম্যাডাম অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বুধবারের বৈঠকে আগামী রবিবার থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বৈঠকে থাকা ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব।
তিনি দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী শনিবার পূর্বনির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলেও শুক্রবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন থেকে বিকাল পাঁচটা হতে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কেবল স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ চালানো এবং নির্মাণ শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ইউনিফর্ম পরা এবং একই সঙ্গে পরিচয়পত্র ও হেলমেট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএআর/জানুয়ারি ২০, ২০১৬)