চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকদের টানা ১৭ দিন কর্মবিরতির কারণে পিছিয়ে পড়া ক্লাসগুলো পুষিয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির দিনগুলোতেও ক্লাস নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও ছুটির দিনে ক্লাস নেওয়া হোক।

অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড বহাল ও গ্রেড সমস্যা নিরসনের দাবিতে গত ১১ জানুয়ারি থেকে টানা ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে কর্মবিরতি পালন করেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। একই দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ জানুয়ারি থেকে টানা ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭ দিন কর্মবিরতি পালন করে শিক্ষকরা। পরে ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে ২০ জানুয়ারি থেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ক্লাসে ফিরে আসেন।

এদিকে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে চবিতে সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মো. ইব্রাহিম নামের এক শিক্ষার্থী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে আমাদের অনেক ক্লাস পরীক্ষা হয়নি। এখন যদি শিক্ষকরা ছুটির দিনগুলোতে ক্লাস নেয়, তাহলে আমরা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।’

মো. হায়দার হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই সেশনজট অনেক বেশি। তারপর আবার শিক্ষকদের দীর্ঘ কর্মবিরতির ফলে আমাদের এখন আরও বেশি সেশনজটে পড়তে হবে। এখন যদি শিক্ষকরা আমাদের বাড়তি ক্লাস নেন, তাহলে হয়তো সেশনজটে অনেকটা কমবে।’

তানিয়া আক্তার নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতির মধ্যেও নাকি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এখন বন্ধের দিনগুলোতে ক্লাস নেওয়া হলে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারব।’

শিক্ষার্থীদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আমাদের বাড়তি ক্লাস নেওয়ার ভাবনা আছে।’

(দ্য রিপোর্ট/জেএস/এপি/এম/জানুয়ারি ২১, ২০১৬)