মীর মোহাম্মদ ফারুক, গাজীপুর : সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ্ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, তাদের দেশবাসী বেশিদিন ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ভোট চুরির কলঙ্ক ইতিহাস থেকে কখনও মোছা যাবে না।’

হান্নান শাহ্ বৃহস্পতিবার বিকেলে কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সিদ্ধান্তের বাইরে যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এ সময় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি খাইরুল বাশার বাদশাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করেন।

উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সরকারকে এ সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাই করা হয়। প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার আজিজুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে হান্নান শাহ্র ভাতিজা কৃষক দল নেতা ফকির ইসকান্দার আলম জানু ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা মহিলাদল নেত্রী সামসুন নাহার ডেইজীর নাম ঘোষণা করা হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে হান্নান শাহকে দেওয়া সংবর্ধনা উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির সভাপতি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সেলিমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট বজলুল হক, গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এমদাদ হোসেন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. সোলাইমান, হান্নান শাহর ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, কেন্দ্রীয় মহিলা দল নেত্রী শাহানা চৌধুরী, জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল করিম বেপারী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মমতাজ উদ্দিন রেনু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান দিলু, কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আজগর হোসেন খান, দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী মোল্লা, উপজেলা যুবদলের সভাপতি হোসেন সারোয়ার, উপজেলা ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন শিশির প্রমুখ।

অপরদিকে, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট বজলুল হক, ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে অ্যাডভোকেট এমাদুল হক লাল ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় মহিলা দল নেত্রী শাহানা চৌধুরী।

এর আগে, মঙ্গলবার সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির ঢাকার বাসায় উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মোল্লা, ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা মহিলা লীগের আহ্বায়িকা রওশন আরা সরকারের নাম ঘোষণা করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএফ/এমএআর/জানুয়ারি ৩০, ২০১৪)