চট্টগ্রাম অফিস : প্রতারণার মাধ্যমে ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট নুরে আলম ভুইয়ার আদালতে রবিবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন ভারটেক্স এ্যাপারেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহির হোসেন।

মামলার বিবাদীরা হলেন- ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লিলিপুট কিডস ওয়্যার লিমিটেড চেয়ারম্যান সঞ্জীব নারুলা ও ফ্রেইট ফরোয়াডার মেসার্স ইআরটি শিপিং এ্যান্ড ওয়ারহাউজিং (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রমোদ মাহাতো।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিআইবি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান লিলিপুট কিডস ওয়্যার লিমিটেডের চাহিদা মোতাবেক বাদীর প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স এ্যাপারেল লিমিটেড ৩৭,২০০ পিস তৈরি পোশাক রফতানি করেন। যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় এক কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ টাকা। ফ্রেইট ফরোয়াডার প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুয়ায়ী ব্যাংকের ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে রফতানিকৃত পণ্যের মূল্য পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাতের কুমানসে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বরাবরে হস্তান্তর করলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাদী পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করতে থাকে।

এ ব্যাপারে পাওনা আদায়ের জন্য পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার, রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রালয়, বাংলাদেশ-ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ক্রেতা লিলিপুট কিডস ওয়্যার লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগাদা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১০ জুলাই তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লিলিপুট কিডস ওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান সঞ্জীব নারুলা ২০১৩-এর ২৫ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদের সিডিউল মোতাবেক অপরিশোধিত বিল পরিশোধের অঙ্গীকারপূর্বক একটি লিখিত চুক্তিনামা সম্পাদন করেন।

ভারটেক্স এ্যাপারেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহির হোসেইন দ্য রিপোর্টকে জানান, সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক ভারতীয় এ প্রতিষ্ঠান বিল পরিশোধ করেনি। এর পর বারবার সঞ্জীব নারুলার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি লেনদেন অস্বীকার করেন। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

এ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান ছাড়াও আদালতে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, এ্যাডভোকেট প্রদীপ আইচ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এপি/এম/জানুয়ারি ২৪, ২০১৬)