খাগড়াছড়িতে হতাশায় কাটছে আখচাষীদের জীবন
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পাইকাররা আখ কিনতে খাগড়াছড়ি আসছেন না। চট্টগ্রাম ফেনী ও ঢাকার পাইকাররা বায়না দিলেও আখ নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে প্রায় চার হাজার কৃষক বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। হতাশায় কাটছে তাদের জীবন। প্রায় ২০ কোটি টাকার আখ ক্ষেতেই মরতে বসেছে।
কিন্তু আধা যুগের বেশি সময় ধরে খাগড়াছড়িতে উন্নতজাতের আখ চাষ করছেন কৃষকরা। সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘চট্টগ্রাম আখ চাষ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে তারা সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে আখের আবাদ করছেন। প্রথমদিকে কৃষকরা ভালোই লাভের মুখ দেখেছেন। এখন আর সেই দিন নেই। আখচাষীরা হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
তাছাড়া স্থানীয়ভাবে গুড় তৈরি বা অন্য কোনো প্রক্রিয়াকরণের উপায় না থাকায় আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষকরা জানান, অনেক পাইকার ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে গেলেও লোকসানের আশঙ্কায় আখ নিতে আসেননি। ফলে আখ না কাটায় তারা আখ বিক্রির বাকি টাকা যেমন পাননি তেমনি ওই জমিতে অন্য রবি ফসল করতে পারেননি।
খাগড়াছড়ি ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দিবাকর চাকমা জানান, চলতি মৌসুমে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন কৃষিপ্রধান এলাকায় এই বছর ৭০০ হেক্টরের অধিক জমিতে আখ চাষ হয়েছে। দেশি জাতের পাশাপাশি বিদেশি জাতের আখও ভালোই ফলেছে পাহাড়ি জমিতে। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ২০ কোটি টাকার আখ অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পারলে খাগড়াছড়িতে সম্ভাবনাময় আখ চাষ থমকে পড়তে পারে। এর ফলে তৃণমূলের কৃষকদের জীবনমানেও ঘটতে পারে ছন্দপতন।
(দ্য রিপোর্ট/এইচএমপি/ইইউ/এমডি/শাহ/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)