দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তরুণ অভিনেতা তালিম কুমার। শুক্রবার দুপুর ২টার খবরের পর চ্যানেল আইয়ে প্রচার হবে তার অভিনীত টেলিফিল্ম ‘চুল’। নিজের ব্যস্ততা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলাপ করতে দ্য রিপোর্টের কার্যালয়ে এসেছিলেন তিনি। বললেন তার কথা-

দ্য রিপোর্ট : ‘চুল’ নিয়ে কিছু বলুন...

তালিম : শহীদ কাদরীর ‘সেলুনে যাবার আগে’ কবিতা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে আশুতোষ সুজনের টেলিফিল্ম ‘চুল’। মূলত চুল সমস্যা নিয়ে এ টেলিফিল্ম। তিন বছর ধরে অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমরা এই টেলিফিল্মটি নির্মাণ করেছি। টেলিফিল্মের মতো আমার নিজের চুল অনেক বড়। এটা নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

দ্য রিপোর্ট : নাটক তো অনেক দিন ধরেই করছেন?

তালিম : বেশ কয়েকটি এক ঘণ্টার ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছি। আমি প্রথম রাবেয়া খাতুনের গল্প অবলম্বনে একটি নাটকে অভিনয় করি। এ নাটকটি নির্মাণ করেছিলেন সতীর্থ রহমান রুবেল।

এরপর একে একে আলী ফিদা একরাম তোজোর ‘অঘটন ঘটন পটিয়সী’, তরঙ্গ আনোয়ারের ‘ঘরে বাইরে’, মিজানুর রহমান লাবুর ‘অল আউট’, জেডএইচ হেলালের ‘মিশন জি ফাইভ’ আশুতোষ সুজনের ‘রেড ড্রাগন টু রজনীগন্ধা’, ‘জিরো পয়েন্ট’, কচি খন্দকারের ‘ইয়েস বস নো বস’ নাটকে কাজ করছি।

দ্য রিপোর্ট : অভিনয় দিয়ে তো নিশ্চয়ই শুরু করেননি?

তালিম : না, আমি গানের মানুষ। লালন ফকির, কবিয়াল বিজয় সরকার, এসএম সুলতানের ভক্ত। ছেলেবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছি। খুলনায় আমাদের পরিবারের ‘বাহার থিয়েটার’ ও ‘বাহার স্পোর্টিং ক্লাব’ ছিল। আমার বড় ভাই এসএম কামরুল বাহার ও নুরুল হক নাটক রচনা ও নির্দেশনা দিতেন। অপর ভাই মাসুদুল বাহার জাতীয় দলের ফুটবলার। তো ১৯৮৭/১৯৮৮ সালের কথা। আমি তখন অনেক ছোট। ভাইদের নির্দেশনায় শহরজুড়ে পাঁচটি নাটক মঞ্চস্থ করি। নাটক আমাকে টানত। তাই নাটকে আসা।

দ্য রিপোর্ট : পারিবারিক নাম ‘বাহার’ হলে আপনার নামও তো ‘বাহার’ হওয়ার কথা ছিল?

তালিম : ছিল তো। ছিল তালিমুল বাহার। আমি নাম পরিবর্তন করেছি। আমাদের পূর্বপুরুষ কুমার নদের অববাহিকায় ছিল। ওখান থেকে নড়াইলে চলে আসে। সেখান থেকে আমি ‘কুমার’ নামটি নিয়েছি। অনেকে অনেক কিছু বলছে। কিন্তু আমি মানবধর্মে বিশ্বাসী আর আমাদের দেশজ সংস্কৃতি মনে লালন করি। তাই নাম পরিবর্তন আমার কাছে তেমন বড় কোনো ব্যাপার নয়।

দ্য রিপোর্ট : রাজধানীতে এলেন কবে?

তালিম : সেটা ১৯৯৫ সালের কথা। সংস্কৃতির টানে চলে এসেছি। এখানে এসে চাকরি করেছি। লিটল ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেছি। সংগঠন করেছি। ‘আয়না মহল’ নামে আমাদের একটি সংগঠন আছে। এখান থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়, অ্যালবাম বের করা হয়। লালনের গান, ভাওয়াইয়া গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেছি।

দ্য রিপোর্ট : অনেক স্ট্রাগল করতে হচ্ছে কি?

তালিম : তা তো করতে হবেই। আমি পরিচালকদের ফোন করে বলি তো, আমি পেশাদার চরিত্রহীন তালিম কুমার বলছি। আমি পেশাদার চরিত্রবান হতে চাই। আসলে আমি একজন সৈনিক মৌমাছি। মধু সংগ্রহ করছি। নাচ-গান লেখালেখি, অভিনয় করছি। এক সময় চলচ্চিত্রের পথে যাত্রা করব।

দ্য রিপোর্ট : মূলত কি করতে চান?

তালিম : আমি আসলে শিখতে চাই। চলচ্চিত্রই আমার মূল লক্ষ্য।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এপি/এএল/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)