জামায়াত-শিবিরের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের গুলি-টিয়ারশেল
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ৪ নভেম্বর থেকে ১৮ দলীয় জোটের টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল, রাস্তা অবরোধ ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবির। বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবহনে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ-জামায়াত-শিবির সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হরতালের সমর্থনে সায়েদাবাদে মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে ছাত্রশিবির। সকাল সাড়ে ৬টায় শিবির নেতা শাহিন আহমেদ খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল সায়েদাবাদ ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে ধলপুর গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তারা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে।
সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করে ছাত্রশিবির। ঢাকা মহানগরী পূর্ব শাখা সভাপতি রাশেদুর হাসান রানার নেতৃত্বে মিছিলটি খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে ভূতের আড্ডা হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
হরতালের সমর্থনে সকাল সোয়া ৮টার দিকে মহাখালী ওয়্যারলেস এলাকায় মিছিল বের করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির। এ সময় তারা রাস্তা অবরোধেরও চেষ্টা করে।
সকাল ৯টার দিকে মগবাজার চৌরাস্তা থেকে রমনা থানা জামায়াতের আমির ড. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থন মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রেলগেটে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় রাস্তায় পেট্রল ঢেলে আগুন দেয় জামায়াত কর্মীরা।
সকাল ১০টায় রাজধানীর বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করে শিবির নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে শিবিরকর্মীদের সঙ্গে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে শিবিরকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে ২ শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিশায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় ৩টি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
অপরদিকে, রাজধানীর রাজউক ভবনের সামনে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া সিটি কলেজের সামনে মিছির বের করে ঢাকা কলেজের শিবির নেতাকর্মীরা।
শাহবাগ থানার ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) আবদুল জলিল বলেন, রাজধানীর কাঁটাবনে বিস্ফোরণে আনোয়ার নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পকেটে থাকা ককটেন বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে তার দুই উরুর অনেকাংশ ঝলসে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান আবদুল জলিল।
আহতের স্বজন আকলিমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বলেন, তার বোনজামাই আনোয়ার রামপুরা এলাকায় হরকারি করেন। সকালে বাসা থেকে বেড় হন। পরে তারা খবর পান আনোয়ার হাসপাতালে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পূর্ব দিকে রাস্তায় দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে দুপুর ১২টায় বিএসটিআই সংলগ্ন রানার অটোমোবাইলসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর একটি গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি স্কুলের সামনে দাঁড়ানো একটি বোসে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীরা একটি গাড়ি এসে আগুন নেভায়।
(দিরিপোর্ট২৪/এএস, ০৩ নভেম্বর, ২০১৩)