কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ৪ জনের কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম অফিস : ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিনি আমদানির নামে ব্যাংকে ভুয়া এলসি খুলে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের দুর্নীতির মামলায় তিন ব্যাংক কর্মকর্তা ও এক ব্যবসায়ীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বুধবার বিকালে মীর রুহুল আমিন এ রায় দেন।
দণ্ডিত চারজন হলেন— অগ্রণী ব্যাংকের নগরীর খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুস শুক্কুর, ক্যাশিয়ার মাইনুদ্দিন চৌধুরী, কর্মকর্তা তড়িৎকান্তি সেন ও খাতুনগঞ্জের সাতকানিয়া ট্রেডার্সের মালিক বিভূতিরঞ্জন তালুকদার। এদের মধ্যে বিভূতিরঞ্জন তালুকদার ছাড়া বাকি সবাই পলাতক রয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ রায়ের বিষয়টি দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
দুদকের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ১৯৮৬ সালের ৩ মার্চ থেকে ১৯৮৭ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত সময়ে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অগ্রণী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে চিনি আমদানির কথা বলে টাকা উত্তোলন করে দেড়কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক আবু মো. আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় পৃথক চারটি মামলা করেন। ১৯৮৭ সালের ৩১ আগস্ট মামলাগুলো রুজু করা হয়। তদন্ত শেষে ১৯৮৯ সালের ২৭ জুলাই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০০ সালের ৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয় আদালতে। প্রত্যেকটি মামলায় ১১ থেকে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় দেন।
দুদক আইনজীবী আরও জানান, রায়ের আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন চারটি মামলায় পৃথকভাবে চার আসামিকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই হিসেবে প্রত্যেকের ২০ বছর করে কারাদণ্ড হয়। আদালত আসামিদের আত্মসাৎ করা দেড় কোটি টাকা, তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেএস/এপি/সা/জানুয়ারি ২৭, ২০১৬)