‘চট্টগ্রামকে ঘিরে দেশের অবস্থা পাল্টে দেওয়া হবে’
চট্টগ্রাম অফিস : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন। চট্টগ্রামের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর কাজ চলছে। চট্টগ্রামকে ঘিরে দেশের অবস্থা পাল্টে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউ’র মেজবান হলে রবিবার দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মহেশখালীতে চারটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলের চেহারা বদলে যাবে। মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল, একাধিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। উন্নয়নের মহাযজ্ঞে তিন বছর পর চট্টগ্রামকে আর চেনা যাবে না।
তিনি বলেন, বন্দর ও আরও কয়েকটি কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ৮০ শতাংশের সাথে চট্টগ্রামের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। চট্টগ্রামের যতটুকু নেওয়ার সামর্থ্য আছে তার পুরোটাই দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির পালাবদলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর এগিয়ে যাওয়ার পালা চলছে। এখন আমাদের সময়। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৩তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সবগুলো সূচক বাংলাদেশে বিদ্যমান। আমাদের বড় সম্পদ হচ্ছে বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম জনশক্তি। রাজস্ব নীতিতেও অন্য দেশগুলোর চেয়ে আমরা উদার। এখানে বিদেশিরা এসে সরাসরি ভূমির মালিক হতে পারে।
এই কনফারেন্সে দি বে অব বেঙ্গল গ্রোথ ট্রায়াঙ্গাল এ্যান্ড দি মেরিটাইম সিল্করুট শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ কে খান গ্রুপ অব কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন কাশেম খান।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় এই কনফারেন্সে অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, কানাডার হাইকমিশনার পিয়ারে লামারে, বেঙ্গল চেম্বারের সভাপতি সুতানু ঘোষ, এফবিসিসিআইর প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবরার আনোয়ার। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
(দ্য রিপোর্ট/এপি/এম/জানুয়ারি ৩১, ২০১৬)