দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জাতীয় পরিষদের সভায় প্রথম অধিবেশনে গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এ সময়ে আওয়ামী লীগের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ যেমন প্রহসনের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি, তেমনি বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনের উপযোগী কর্মসূচী না দিতে পারার কারণে বিএনপি জোট আহূত আন্দোলনেও জনগণ সাড়া দেয়নি। এর মধ্যদিয়ে জনগণ উভয় পক্ষকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা গুলিস্তানের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জেএসডি’র জাতীয় পরিষদের সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রথমেই সভার আলোচ্যসূচী ব্যাখ্যা করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। বক্তব্য রাখেন এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মো. সিরাজ মিয়া, শরীফ মোহাম্মদ খান, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, দেলোয়ার হোসেন, জিয়া খন্দকার, আশীস সরকার, তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারুল কবির, কাশেম পাটোয়ারী, মোসাররফ হোসেন, শফিউল আলম, লোকমান হাকিম, আল্লামা ইকবাল প্রমুখ।

সভায় প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে জেএসডি রাজনীতি বিশেষ করে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, দেশে ৯টি প্রদেশ, স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার গঠন ও বর্তমান সংবিধানের আমূল সংস্কারের কর্মসূচীর ভিত্তিতে নতুন ধারার রাজনীতি ও তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ-এর সঙ্গে অন্যান্য প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল ও বিভিন্ন সমাজ শক্তিকে সমন্বিত করে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তিকে পূর্ণঙ্গ রূপ দেওয়া আজকের প্রধান রাজনৈতিক করণীয়।

সভায় এ উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য দেশের সকল প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সংগঠন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন সমাজশক্তি’র প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এসবি/এনআই/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)