সারওয়ার আজম মানিক, কক্সবাজার : রং-বেরঙের শত শত ঘুড়ি আকাশে ওড়ানোর মাধ্যমে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে শুরু হল দুই দিনব্যাপী জাতীয় ঘুড়ি উৎসব ২০১৪।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অংশগ্রহণে এ উৎসব ব্যতিক্রমী এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

ঋতু বৈচিত্র্য, বহু ধর্ম আর বর্ণময় সংস্কৃতির দেশ আমাদের এই লাল-সবুজের বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে ‘প্রকৃতি পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব সবার, ধর্ম যার যার উৎসব আনন্দ সবার’ স্লোগানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শুরু হয়েছে জাতীয় ঘুড়ি উৎসব ২০১৪।

সমুদ্র সৈকতের সী ইন পয়েন্টে এ উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘুড়ি উৎসবের মাধ্যমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একটি ধারাবাহিক বিনোদন সৃষ্টি হল। এ বিনোদনের মাধ্যমে জাতির অনেক বেশি শেখার রয়েছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন।

দেশের পযর্টন শিল্প বিকাশে ঘুড়ি উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মৃধা।

রঙ্গিন ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে যেমন মজা ছোটদের, তেমনি বড়রাও কম যায় না। নীল আকাশে রঙ্গিন ঘুড়ির সুতোয় যেন কৈশোরে ফিরে যাওয়া। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক পারভিন দ্য রিপোর্টকে বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে এসে খুব আনন্দ করছেন।

খুলনা থেকে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে আসা শিশু রনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ঘুড়ি ওড়ানোর আনন্দই আলাদা।

সব কিছু মিলে এ উৎসব নানা বয়সী, শ্রেণী ও পেশার মানুষ আর পর্যটকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। পকেট কাইট, ড্রাগন কাইট, সিরিজ কাইটের মত নানা রঙের ঘুড়ি আকাশে ওড়ানোর সুখস্মৃতি ছিল সবার চোখে মুখে।

শনিবার এ উৎসবের শেষ হবে। এতে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও ঘুড়ি কাটাকাটি প্রতিযোগিতা, ফানুস উত্তোলন ছাড়াও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএএম/এমএইচও/জেএম/আরকে/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)