দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সৈয়দ শামসুল হকের হাতে উর্বর হয়ে চলেছে বাংলা সাহিত্যের আদিগন্ত ভূমি। তার লেখায় অপূর্ব মহিমায় স্থান পেয়েছে সময়ের সংকট ও তা থেকে উত্তরণের উপায়। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, কাব্যনাট্য, গান, চিত্রনাট্যসহ নানা ক্ষেত্রে সমান পারদর্শিতা দেখিয়ে তিনি অর্জন করে নিয়েছেন সব্যসাচী লেখকের বিশেষণ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ৭৯তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উপস্থিত বক্তারা এভাবেই তুলে ধরেন তাকে। এ অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী এবং শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সাময়িকী ‘সামান্য কিছু’।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, নাট্যনির্দেশক আতাউর রহমান, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হকসহ দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত সৈয়দ হক শুভানুধ্যায়ীরা।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই সৈয়দ হকের একক কবিতা পাঠ ছাড়াও পরিবেশিত হয় ইভান শাহরিয়ার সোহাগের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথের ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে তোমায় নিমন্ত্রণ’ গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি। আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে জয়ীতা মহলানবীশ ও মাহফুজ রিজভী পাঠ করে সৈয়দ হকের কাব্য নাট্য ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। তারপর পূজা সেনগুপ্ত ও গোলাম শাহরিয়ার সিক্তর অভিনয়ে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ নাটক মঞ্চায়িত হয়। স্বপ্নীল সজীব ও সামিউল ইসলাম পলাশের অংশগ্রহণে রবীন্দ্রনাথের গান ও সৈয়দ হকের কবিতা কোলাজ উপস্থাপনের পর গাজী রাকায়েতের নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় সৈয়দ হকের লেখা নাটক ‘ডেড পিকক’। এতে অভিনয়ে করেন গোলাম সারোয়ার, গাজী রাকায়েত ও শর্মীমালা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/কেএম/এনআই/জানুয়ারি ৩১,২০১৪)