আল-আমিন ওপেনও করতেন!
রবিউল ইসলাম, দ্য রিপোর্ট : ব্যাটসম্যানরা রান করবেন এটাই নিয়ম। তবে বোলাররা যদি ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা ছড়ান; তাও আবার শেষ উইকেটে তাতে ক্রিকেটভক্তদের আলোড়িত হওয়া স্বাভাবিক। ঢাকা টেস্টের বড় হারের দাঁড়প্রান্তে বাংলাদেশ; তখন ঝড়ো এক ইনিংসে গ্যালারি মাতিয়েছেন আল-আমিন। জাতীয় দলের পেস বোলার আল-আমিন। বোলার হয়েও এমন ব্যাটিং করে মন করেছেন মিডিয়ারও। জানা গেছে, আল-আমিন ব্যাট হাতে ওপেনও করেছেন।
জাতীয় পযায়ে আল-আমিন রাজশাহী হয়ে খেলার সময় অনেকবার ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করেছেন। বিস্ময় ব্যাটিং করা আমিন জানিয়েছেন, ‘আমি অনেক ম্যাচেই রাজশাহীর হয়ে ওপেন করেছি। হাফ সেঞ্চুরিও ছিল কয়েকটি।’ ঠিক কয়টি মনে করতে পারলেন না তিনি। প্রায়ই ৫৫-৬০ রান করেছেন। তিনি যে পারেন; তা প্রমাণও করেছেন। ঢাকা টেস্টে, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস দেখলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। কিন্তু তারপরও নিজেকে কখনো ব্যাটসম্যান মনে করেন না তিনি। বলেছেন, ‘আমি নিজেকে বোলার হিসেবেই দেখতে চাই। আমি আসলে বোলিংই এনজয় করি।’
গতবছর ২১ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্যাপ পড়েছেন ডানহাতি এ পেসার। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অভিষেক টেস্টে ব্যাট হাতে কোনো রান না পেলেও উইকেট নিয়েছেন একটি। টেস্ট ক্রিকেটে আল-আমিনের খেলা ২টি টেস্টের মধ্যে ব্যাট করার সুযোগ মিলেছে ৩ বার। অন্যদিকে বল করার সুযোগ মিলেছে ২ বার। ৩ বার ব্যাটিং করে রান যথাক্রমে ০*, ৬* এবং ৩২*। বোলিংয়ে মিলেছে ২ উইকেট। বৃহস্পতিাবর এতো ঝড়ো ব্যাটিং সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেছেন, ‘আমি ব্যাটসম্যান না। ওরা খারাপ বল করেছে তাই মেরেছি। ভেবেছিলাম আরো ভালো ব্যাটিং করব। উইকেট ধরে খেলব। কিন্তু ওরা মারার বল দিচ্ছিল।’ ঢাকা টেস্টে ৩২ ওভার বল করেছেন; তাতে উইকেট একটি। বলও হয়েছে ভালো। এতো ভালো বল করে উইকেট না পাওয়ার ব্যাখ্যায় আল-আমিন বলেছেন, ‘শুরু থেকেই ভালো বল করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না বলে উইকেট পাইনি। তারপরও আত্মবিশ্বাসী আল-আমিন। বলেছেন, ‘চট্টগ্রামের উইকেট সম্পর্কে আইডিয়া আছে। একাদশে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’
টেস্ট খেললেও এখনও সুযোগ হয়নি ওয়ানডে খেলার। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষক হওয়ার পর একই সিরিজি টোয়েন্টি২০ খেলেছেন এ ক্রিকেটার। এক ম্যাচ উইকেট নিয়েছেন ২টি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তারে নৈপূণ্য খুবই ধারবাহিক। তাইতো নির্বাচকদের সুনজরে রয়েছেন এ ক্রিকেটার। এ পর্যন্ত ১৬টি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। উইকেট সংখ্যা ৪৮টি। আর ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে ১৮ ম্যাচ খেলে উইকেট কুড়িয়েছেন ৩৩টি।
(দ্য রিপোর্ট/আরআই/এএস/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)