চট্টগ্রাম অফিস : নিজের দেহের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাথা লাগিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন প্রকাশের অভিযোগে চট্টগ্রামে নিজ দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে বেকায়দায় পড়েছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও চিটাগং চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ।

নগরীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বুধবার বিকেলে ‘জাগ্রত ছাত্র ও যুব জনতা’র এক প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতারা এম এ লতিফকে চট্টগ্রামে ‘অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন’। পরে তার ছবিতে থুতু ও জুতা নিক্ষেপ করেছে তারা।

সমাবেশে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা লতিফকে ‘বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট’ আখ্যায়িত করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার এবং তার নির্বাচনী আসন শূন্য ঘোষণা করে পুনঃর্নিবাচন দাবি করে। একই সঙ্গে লতিফকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়েছেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এস এম জাহিদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, সাবেক ছাত্রনেতা ও কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাসান মনসুর প্রমুখ।

ছাত্রলীগ-যুবলীগ মাঠে লতিফের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠলেও এখনো তার ব্যাপারে মুখ খোলেননি দলের কেন্দ্রীয় নেতা কিংবা চট্টগ্রামের নেতারা।

অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষে নগরীর আগ্রাবাদ বন্দর এলাকায় এম এ লতিফ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি-সংবলিত ব্যানার ও বিলবোর্ড লাগান। এসব বিলবোর্ডে লতিফ তার কাবুলিওয়ালা পাঞ্জাবি পরিহিত ছবির সম্পাদনা করে বঙ্গবন্ধুর মুখ লাগিয়ে দেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেএস/এসবি/এম/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬)