সাগর আনোয়ার, দ্য রিপোর্ট : দলের অস্তিত্ব সংকটে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। প্রতিদিনই প্রেসিডিয়াম থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এমনকি জেলার নেতারাও জাপা ত্যাগ করছেন। করণীয় নির্ধারণে মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ ঘনিষ্ঠদের নিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান প্রতিদিনই করছেন বৈঠক।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নেতাদের জাপা ত্যাগ থামাতে ও নির্বাচনে এরশাদের ভূমিকা কি ছিল তা জেলার নেতাদের কাছে স্পষ্ট করতে উদ্যোগ নিয়েছেন এরশাদ। এর অংশ হিসেবে রবিবার সকাল ১০টায় প্রথমবারের মত ৬৪ জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন এরশাদ।

বনানীতে এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয় ‘রজনীগন্ধাতে’ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন এরশাদের প্রেস এ পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সারাদেশের জাতীয় পার্টির অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে স্যার সবাইকে নিয়ে বসবেন। তা ছাড়া সামনে উপজেলা নির্বাচনে দলের করণীয় সম্পর্কেও স্যার নির্দেশনা দিবেন।’

জাপা সূত্রের দাবি, জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন ২৮ জানুয়ারি কাজী জাফর আহমদের জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ায় এরশাদ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। লিংকন একইসঙ্গে কুষ্টিয়া জেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন। বৃহত্তর যশোরে রয়েছে এ নেতার প্রভাব। এর আগে গাজীপুর জেলার সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্রিগেডিয়ার (অব) মাহমুদুল হাসান কাজী জাফরের জাপায় যোগ দেন। এ ছাড়া সিলেটের প্রভাবশালী নেতা নবাব আব্বাস আলী খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম এম আলমও সারাদেশের জেলা নেতাদের নিয়ে কাজী জাফরের পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।

২৮ জানুয়ারি কাজী জাফরের দলে যোগদান কালে আহসান হাবিব লিংকন দাবি করেন, ‘সামনে চমক আছে। অপেক্ষা করুন। কিছুদিনের মধ্যে অনেক কিছুই দেখতে পাবেন।’

সূত্রের দাবি, সব মিলিয়ে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কাবোধ করছেন এরশাদ। এমতাবস্থায় মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারসহ একাধিক নেতাদের পরামর্শে জেলা নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন এরশাদ। সর্বশেষ শুক্রবার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে রুহুল আমীন হাওলারসহ একাধিক নেতাদের নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এরশাদ।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি স্যারের বাসায় আছি। রবিবার জেলার নেতাদের নিয়ে দলের বৈঠক রয়েছে। দলের সার্বিক অবস্থা ও করণীয় নির্ধারণে স্যারের সঙ্গে কথা বলছি।’

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এসবি/জানুয়ারি ৩১, ২০১৪)