এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে দুই স্কুল কর্মচারীকে পেটালেন ইউএনও
চট্টগ্রাম অফিস : এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে স্কুলের দুই কর্মচারীকে লাঠিপেটা করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম। বুধবার সকালে উপজেলা সদরের গোমদন্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ‘সময়মতো গেট না খোলার’ অভিযোগে ‘বিধিবহির্ভূতভাবে’ স্কুলের দফতরি কাম ল্যাব সহকারী শিমুল বড়ুয়া এবং আরেক কর্মচারী মো. হোসেনকে লাঠিপেটা করেন ইউএনও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে ইউএনও কাজী মাহবুবুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেওয়ান মো. তাজুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইউনুছকে নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তখন বিদ্যালয়ের মূল গেট ও পকেট গেট বন্ধ ছিল।
এ সময় বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের ঘন্টা বাজানোর জন্য দফতরির দায়িত্বে থাকা ল্যাব সহকারী শিমুল বড়ুয়া শিক্ষক মিলনায়তনের সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ১০টা ৪৪ মিনিটে কেন্দ্রের বন্ধ থাকা মূল গেটে ধাক্কার শব্দ শুনে শিমুল গেট খুলে দেন। তারপরই ইউএনও দায়িত্বরত পুলিশের লাঠি নিয়ে শিমুলের পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন।
অন্যদিকে নৈর্ব্যক্তিক উত্তরপত্র নিয়ে আসার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কর্মচারী মো. হোসেনকে একজন শিক্ষক কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যান। ইউএনওর আগমনে তিনি নিচে নামলে তাকেও লাঠিপেটা করা হয়।
বিষয়টি কেন্দ্র সচিব মো. মঈনুল আবেদীন নাজিম অবগত নন বলে জানান।
তবে কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সাইফুল আলম দাবি করেন, ‘ইউএনও রাগান্বিত হয়ে লাঠিপেটা করেন।’
বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা না নিয়ে লাঠিপেটা করার কারণ জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মাহবুবুল আলম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘কেন্দ্রের মূল গেট ও পকেট গেট বন্ধ ছিল। বার বার হর্ন দেওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ গেটম্যান না আসায় তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’
(দ্য রিপোর্ট/ জেএস/এনআই/ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৬)