লাখো মুসল্লির ফজর নামাজ আদায়, চলছে বয়ান
কাওসার আজম, শামীম রিজভী ও মীর মোহাম্মদ ফারুক, ইজতেমা ময়দান থেকে : শনিবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিন শুরু হয়েছে। লাখ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে জামায়াতে ফজরের নামাজ আদায় করেন। নামাজের কাতার বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ছাড়িয়ে বিস্তৃত হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও। এখন ইজতেমা ময়দানের মূল মঞ্চে বয়ান চলছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত বয়ান চলবে। এরপর এক ঘণ্টা সকালের খাবার ও গোসলের বিরতি শেষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মাওলানারা ইজতেমার মূল মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন।
একই সময় খিত্তায় খিত্তায় হালকা তালিম অনুষ্ঠিত হবে। এটি চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এরপর জোহরের নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি শেষে আবারও শুরু হবে বয়ান। এ ছাড়া বাদ আছর যৌতুকবিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের ইজতেমায় ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। জেলাগুলো হলো- ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, নেত্রকোনা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, খুলনা, সাতক্ষীরা, মাগুরা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও নওগাঁ।
ইজতেমা ময়দানের উত্তর দিকে মঞ্চের পাশে বিদেশি মুসল্লিদের তাঁবুতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তাবলীগ জামাত কর্তৃপক্ষ। কয়েক হাজার বিদেশি মেহমান ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, ২৪-২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইজতেমার প্রথম পর্বে ১২৫টি দেশের ২২ হাজার মুসল্লি অংশ নেন।
এর আগে গত শুক্রবার ফজরের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা জামশেদের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ আদায় করেন কয়েক লাখ মুসল্লি। ১৬০ একর ইজতেমা ময়দানের প্যান্ডেল পেরিয়ে নামাজের কাতার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের রাস্তায়ও বিস্তৃত হয়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন। বাদ আছর বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা জোবায়রুল হাসান। আর বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সা’দ।
এ দিকে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছেন। সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় পর্যবেক্ষণ করছে তারা।
শুক্রবার রাত ১০টা থেকে শনিবার ফজর পর্যন্ত বিরতি চলে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর বিশ্ব মুসলিমের সুখ-শান্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ-এসআর-এমএমএফ/এমসি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪)