জয়পুরহাট সংবাদদাতা : ঘন কুয়াশায় তীব্র শীত জেঁকে বসেছে জয়পুরহাটে। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড শীতে স্বল্প আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতবস্ত্র না পাওয়ায় গরিব ও অসহায় মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

গবির ও অসহায় মানুষের অভিযোগ, শীতের তীব্রতা বাড়লেও গরিব মানুষের কাছে এখনও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি। শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুনের উত্তাপ যেন এখন তাদের ভরসা।

শহরের ধানমণ্ডি এলাকার রমিছা বেগম, খোদেজা বিবিসহ অনেকেই জানান, আমরা গরিব মানুষ। কেউ আমাদের শীতবস্ত্র দিচ্ছে না।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, শীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। শিগগিরই আরও কম্বল এবং চাঁদর বিতরণ করা হবে।

শীতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যেমন কাজ করতে পারছে না তেমনি কৃষকরাও পড়েছেন বেকায়দায়। মাঠে কাজ করতে পারছেন না তারা।

উপজেলার হিচমি কোমরগ্রাম এলাকার কৃষক আব্দুল জোব্বার জানান, গত কয়েক দিনের শীতে মাঠে কাজ করতে পারছে না তারা। ফলে সরিষা, আলু ও বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

কৃষিবিদদের মতে, রাতে ঠাণ্ডা আর কুয়াশা। দিনে গরম এরকম অবস্থায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে আলু, বোরো বীজতলা ও সরিষা ক্ষেতের।

দিন দিন শীতের তীব্রতা যেন বেড়েই চলেছে। গত চার দিনে জয়পুরহাটের আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে খুবই কম। এর ওপর হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা বৃষ্টি।

জয়পুরহাটের স্বল্পআয়ের মানুষের যেন দুর্ভোগের সীমা নেই। শীতের কাপড় না থাকায় আগুনের তাপে তারা শীত নিবারণ করছেন। গরিব-অসহায় মানুষের প্রশ্ন, আর কত শীত পড়লে শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/এএএম/ইইউ/এএস/শাহ/ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪)