‘দখলদারদের উচ্ছেদ করাটাই প্রধান সমস্যা’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, ‘নদী পুনরুদ্ধারে নদী দস্যু ও দখলদারদের উচ্ছেদ করাটাই প্রধান সমস্যা।’
রাজধানীর ইস্কাটনে শনিবার বড়াল নদী সুরক্ষায় বেসরকারি সংস্থা ‘রিভারাইন পিপল’ আয়োজিত নাগরিক পরামর্শ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে নদী দস্যু ও দখলদারদের উচ্ছেদ করার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া। বাংলাদেশে অনেক আইন আছে, অনেক নীতি আছে, অনেক পরামর্শ আছে, অনেক সুপারিশ আছে, অনেক আন্দোলন আছে। কিন্তু দেখা যায়, শেষ পর্যন্ত তাদের তেমন কিছু করা যায় না। এ সব দখলদার কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর রাজনৈতিক দলগুলো মুখে যেটা বলে সেটা তারা করে না।’ নদী রক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসা, জনমত গড়ে তোলা ও সরকারের ওপর জোরালো চাপ প্রয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- দৈনিক সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান এম ইনামুল হক প্রমুখ।
আবু সাঈদ খান বলেন, ‘নদী রক্ষার আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। যাতে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো এটাকে নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করতে বাধ্য হয়।’ পাশাপাশি নদী দখলদালদের চিহ্নিত করা, তাদের পরিচয় প্রকাশ করা ও তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করারও আহ্বান জানান তিনি।
বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বড়াল নদী পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে বলেন, ‘ইচ্ছে করলে আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে মামলা করা যায়। কিন্তু নদী ও পরিবেশের বিষয়টি দৃশ্যমান করে আদালতকে বোঝানো কঠিন। আর আমরা নদীর বর্তমান নাব্যতা চাই, নাকি পুরনো নাব্যতা ফিরে চাই এটাও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে।’
এ ছাড়া সভায় কোনো কোনো বক্তা বড়াল নদীর বর্তমান দুরাবস্থার জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দেওয়া, স্লুইস গেট নির্মাণ ইত্যাদিকে দায়ী করে এগুলো ভেঙ্গে ফেলা এবং নদী ড্রেজিংয়ের সুপারিশ করেন।
(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এনডিএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪)