পতেঙ্গা ও আনোয়ারা হবে পর্যটন জোন
চট্টগ্রাম অফিস : বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারার পার্কি বীচকে পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
চট্টগ্রামে বীচ কমিটির দ্বিতীয় সভায় বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মেজবাহ জানান, এ দুটি এলাকাকে পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে পতেঙ্গার ৫ একর ও পার্কি বীচের আশপাশের ৩৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
এর আগে ২০১৪ সালের আগস্টে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠিত হয়। এর দুই মাস পর ২৭ অক্টোবর কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রথম সভায় পতেঙ্গা ও পার্কি বীচকে পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘চট্টগ্রামকে সৌন্দর্য্যবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা পার্কি বীচকে পর্যটন এলাকার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। পতেঙ্গার ৫ একর ও পার্কি সী-বীচের জন্য ৩৮ একর জমিগুলো খাসজমি। তাই কোনো জটিলতা ছাড়াই ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সহজে এ জমি পেয়ে যাচ্ছি। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যে এ দুটি বীচে পর্যটন এলাকা গড়ে তুলতে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। যাতায়াত ইস্যুটিকে গুরুত্ব দিয়ে পার্কি ও পতেঙ্গায় নির্মিত হবে গ্রীন রোড।’
এ দুটি সী-বীচের আশপাশে পর্যটকদের জন্য ফাইভ স্টার সুবিধা সম্বলিত হোটেল, মোটেলসহ মার্কেট ও বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় টুরিস্ট পুলিশ সুপার নওরোজ হাসান তালুকদার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিউল আলম, পার্কি বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য কাইয়ুম শাহ, পতেঙ্গা সৈকত দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল আলম, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আবদুল মালিকসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রস্তাবনা পেশ করেন।
সভায় টুরিস্ট পুলিশ সুপার নওরোজ হাসান তালুকদার নিরাপত্তার বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘এ দুটি পর্যটন এলাকা, তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখানে স্থায়ী ফাঁড়ি নির্মাণ প্রয়োজন।’
পতেঙ্গা সৈকত দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘পতেঙ্গায় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রায় ৪০০ ফুট সরকারি জমি দখল করে রেখেছেন। এ জমিগুলো উদ্ধার করতে পারলে যে পর্যটকরা দেশ-বিদেশ থেকে গাড়ি নিয়ে বেড়াতে আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কোনো সমস্যা হবে না।’
এছাড়া আউটার রিং রোড প্রকল্পের অধীনে পতেঙ্গা সৈকতের ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্যে যে জমি বরাদ্দ করা হচ্ছে তা লম্বাকৃতি না দিয়ে বর্গাকৃতির দেওয়ার দাবি জানান তারা।
(দ্য রিপোর্ট/জেএস/এমএসআর/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬)