চট্টগ্রাম অফিস : ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদামবিবিরহাট এলাকায় পিকনিকের বাস উল্টে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। মাদামবিবিরহাট  চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৫-৬ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা জানিয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিউল্লাহ্ দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ করছে। বেশ কয়েকজন আহতকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এদের মধ্যে ৫-৬ জনের অবস্থা গুরুতর।

আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেলার সোনাগাজী ডাকবাংলা আল-হেরা একাডেমির ছাত্রছাত্রী (প্লে-পঞ্চম শ্রেণির), শিক্ষক ও অভিভাবকসহ মোট ৮১ জন ফেনী জ-১১-৩০৩৪ নম্বরের একটি বাসযোগে চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার পারকির চরে পিনকিনে আসেন।

বিকেল ৫টার দিকে পিকনিক শেষে তারা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় তাদের বহনকারী বাসটি সীতাকুন্ড থানার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় অতিক্রমকালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার মাঝখানে থাকা আইল্যান্ডের উঠে উল্টে যায়।

এ সময় বাসের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক অভিভাবকদের আর্তচিৎকারে আশপাশের এলাকাবাসী ছুটে যায় এবং আহত ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উদ্ধার করে। ঘটনাস্থালে জড়ো হওয়া জনতা বাসটি ধাক্কা দিয়ে সোজা করে দাঁড় করিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।

আহত অভিভাবক কালা মিয়া জানান, নির্দিষ্ট সময় পৌঁছানোর জন্য বাসচালক অনেক আগ থেকে বেপরোয়াভাবে বাস চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অনেকবার বারণ করা সত্ত্বেও সে তার গাড়ির গতি কমায়নি। যার পরিণতি হল এই ভয়ানক দুর্ঘটনা। তিনি বলেন, আমার দেখা অনুযায়ী বাসে থাকা হেলপারের পা ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, শুনেছি সীতাকুণ্ডে বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহতদের হাসপতালে আনা হচ্ছে। কিন্তু এখনো মাত্র একজনকে আনা হয়েছে। বাকিরা পথে আছে।

(দ্য রিপোর্ট/এসএস/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬)