দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শ্যামপুর থানার ওসি আব্দুর রশিদের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জুয়েলের মা ও শ্যামপুর থানার ঢালকানগরের বাসিন্দা দুলারী বেগম।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

ওসি রশিদের ঘুষ কেলেঙ্কারি ও অত্যাচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর জুয়েল (৪০) ও লিখনকে (৩১) আটক করেন শ্যামপুর থানার ওসি আব্দুর রশিদ। আটকের পর এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে জুয়েল ও লিখনকে মারধর করেন। পরে উপায়ান্ত না দেখে ১০ হাজার টাকা ওসিকে দেওয়া হয়। ওই ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পর বাকি ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে বলেও জানান ওসি। ওই সময় জুয়েল ও লিখনকে শ্যামপুর থানার পেন্ডিং এক বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ওই মামলায় জুয়েল জামিনে বের হলে ওসি রশিদ বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে বাকি ৯০ হাজার টাকা দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, জুয়েল কখনও রাজনীতি করেনি এবং অদ্যবদি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সম্পৃক্তা নেই। ওই পেন্ডিং মামলার আসামি মীরহাজিরবাগের বিএনপিকর্মী জুয়েল। শুধুমাত্র নামের সঙ্গে মিল থাকায় ওসি জেনে-শুনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিএনপিকর্মী জুয়েলের স্থলে ভুক্তভোগী জুয়েলসহ লিখনকে গ্রেফতার করে।

সংবাদ সম্মেলনে দুলারী বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার মেয়ে রাশিদা আক্তার।

ভুক্তভোগীদের দাবি, ওসির দাবি অনুসারে আরও ৯০ হাজার টাকা না দিলে জুয়েলসহ অন্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন চালানো হবে।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে ওসি রশিদের ছত্রছায়ায় শ্যামপুর থানাধীন আইজি গেট ব্যাংক কলোনির পশ্চিম পাশের বস্তিতে অবাধে মাদক ব্যবসা চালানোর অভিযোগও করা হয়।

এ সময় দুলারী বেগম, ভুক্তভোগী জুয়েল ও লিখন উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/জেএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪)