ভালোবাসা দিবসে পুলিশের ব্যতিক্রমী আয়োজন
চট্টগ্রাম অফিস : পথচারী ও থানায় আসা বিচারপ্রার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মাধ্যমে চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী ভালোবাসা দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৬ থানার কর্মকর্তারা।
সকাল থেকে নগরীর পথেঘাটে রাস্তায় যানবাহন তল্লাশির জন্য গাড়ি থামিয়ে প্রথমে গাড়িতে থাকা যাত্রী ও চালক হেলপারদের লাল টুকটুকে গোলাপ উপহার দেন পুলিশ সদস্যরা। এতে প্রথমে কিছুটা বিস্মিত হন তারা। পুলিশ সদস্যরা তাদের হাতে ফুল তুলে দিয়ে ‘শুভ ভালোবাসা দিবস’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি গাড়ি চালানোর নিয়মকানুম মেনে চলারও তাগাদা দেন। এ ছাড়া থানায় আনা মানুষদের অভ্যর্থনা জানিয়ে প্রত্যেকের হাতে ফুল তুলে দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশের এ ব্যতিক্রম ব্যবহারে খুশি সাধারণ মানুষ।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ কমিশনার মোহা. আব্দুল জলিল মন্ডলের নির্দেশে নগরীর ১৬ থানায় এবং সব চেকপোস্টে পুলিশ প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমধর্মী এ কর্মসূচি পালন করছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেজে পুলিশ কমিশনার নিজেই পথচারীদের মধ্যে গোলাপফুল বিতরণ করছেন এ ছবি আপলোড দিয়ে লেখা হয়েছে ‘ঘৃণা নয় ভালোবাসা’ এই বার্তা নিয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে নগরবাসীর মধ্যে ফুল উপহার দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল জলিল মন্ডল, বিপিএম-এর নেতৃত্বে এটি করা হয়।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল জলিল মন্ডল দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা ভুলে গিয়ে সবার প্রতি সবার ভালোবাসার বন্ধন সৃষ্টির জন্য আমাদের এ আয়োজন। পুলিশ জনগণের সেবক। তাই যতই জনগণের কাছে যাওয়া যাবে ততই মঙ্গল। এ ফুল দিয়ে আমরা বোঝাতে চাই পুলিশ প্রকৃতপক্ষে জনগণের বন্ধু ও তাদের সেবক।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা ভালোবাসা দিবসের আনন্দটা উপভোগ করছি। সাধারণ মানুষ আমাদের এ কাজে খুশি। আমরা চাই মানুষ পুলিশের কাছে আসুক। দু-একজনের কর্মের কারণে পুলিশ সম্পর্কে মানুষের খারাপ ধারণা কেটে যাক। জনগণ-পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে সমাজে অপরাধ এবং অপরাধীর সংখ্যা কমে যাবে।
দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে একজন ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা চলন্ত বাস থামার নির্দেশ দিতেই চালক বাসটি থামায়। এ সময় পুলিশের একজন নারী কর্মকর্তা গিয়ে চালক ও যাত্রীদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেন। এ সময় চালক জিজ্ঞেস করেন, স্যার এটা কেন দিচ্ছেন? তখন ওই মহিলা কর্মকর্তা বলেন, আজ ভালোবাসা দিবস। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে সবার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
এ সময় গাড়ি টান দিতে গিয়ে চালক বলেন, ‘প্রতিদিন যদি পুলিশগুলো এ রকম সুন্দর ব্যবহার করত তাহলে আমরা গাড়ি চালিয়ে একটু শান্তি পেতাম। দেশটা আরও সুন্দর হতো।’
(দ্য রিপোর্ট/এপি/এম/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬)