দিরিপোর্ট ডেস্ক : সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। বাকি ছিল হোয়াইটওয়াশ। শেষপর্যন্ত সেটা করতেও সমর্থ হয়েছে স্বাগতিকরা। শেষ ম্যাচে সফরকারীদের চার উইকেটে হারিয়ে ৩-০ তে সিরিজ জিতেছে মুশফিক বাহিনী।

ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে সফরকারী ব্যাটসম্যানরা।

রস টেলর, ডেভসিচ, লাথান ও কলিন মুনরোর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর গড়তে সমস্যা হয়নি তাদের। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান করে তারা। মুনরো ৮৫, ডেভসিচ ৪৬, লাথাম ৪৩ ও টেলর অপরাজিত ১০৭ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ দুটি ও রুবেল হোসেন, সোহাগ গাজী, আব্দুর রাজ্জাক নেন একটি করে উইকেট।

তিনশ রানের বিশাল স্কোর তাড়া করে বাংলাদেশের পক্ষে জেতা সম্ভব হবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয় ছিল। কারণ ইনজুরির জন্য ম্যাচের আগের দিন হঠাৎ করেই দল থেকে ছিটকে পড়েন তামিম ইকবাল। তার জায়গায খেলতে আসেন জিয়াউর রহমান।

কিন্তু না, তামিম না থাকলেও সমস্যা হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে শামসুর রহমানের সঙ্গে ভালো সঙ্গ দেন জিয়াউর। জুটি ভাঙে ৬১ রানে। ম্যাকক্লেনাগানের বলে আউট হন জিয়াউর (২২।

দ্বিতীয় উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে জুটি গড়েন মমিনুল। ব্যক্তিগত ৩২ রানে ডেভসিচের বলে মমিনুল সাজঘরে ফিরলেও অবিচল ছিলেন শামসুর। অ্যান্ডারসনের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৯৬ রান করেন তিনি। হয়তো আপেক্ষা থাকবে তার। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।

শামসুরের আগে আউট হন অধিনায়ক মুশফিক (২। তবে দারুণ খেলেছেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা নাঈম ইসলাম। রানআউট হওয়ার আগে ৬৩ রান করেন এই অলরাউন্ডার। শেষপর‌্যন্ত দলগত পারফর্মের সুবাদে লক্ষ্য টপকে যেতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এর আগেও নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। ২০১০ সালে সেবার ৪-০ তে সফরকারীদের বাংলাওয়াশ করে স্বাগতিকরা। তিন বছর পর এবার ৩-০ তে কিউইদের হারিয়েছে তারা।

স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ৩০৭/৫ (টেলর ১০৭*, মুনরো ৮৫, ডেভসিচ ৪৬, লাথাম ৪৩; মাহমুদউল্লাহ ২/৩৬)

বাংলাদেশ: ৩০৯/৬ (শামসুর ৯৬, নাঈম ৬৩, নাসির ৪৪*, মমিনুল ৩২; ম্যাকক্লেনাগান ২/৬৯

ফল: চার উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ

ম্যাচ সেরা: শামসুর রহমান

সিরিজ সেরা: মুশফিকুর রহিম

দিরিপোর্ট২৪/সিজি/এমআই/এমডি/নভেম্বর ০৩, ২০১৩)