গুণের বেপারী আদা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপাদানগুলোর অন্যতম আদা। সুস্বাস্থের জন্য প্রতিদিনের খাবারে আদা ব্যবহার করতে পারেন।
আদার গুণাগুণ নিয়ে কথা বলার কারণ হচ্ছে- আদায় আছে অতি প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান।
আদা রুচিবর্ধক। খাওয়ার আগে একটু আদা মুখে পুরে চিবিয়ে নিলে আপনার পাচক প্রক্রিয়া আরও সহজতর হবে। এ ছাড়া স্বাদ বাড়াতে ও শরীরের টক্সিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই আয়ুর্বেদিক উপাদান।
আদা আপনাকে খুশখুশে কাশি ও ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে সহজেই রক্ষা দিতে পারে। আদার রস ঠাণ্ডা-কাশি নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। চায়ের সঙ্গে পুদিনা পাতা ও মধুর সঙ্গে আদার রস মাথাব্যথা ও ঠাণ্ডা-কাশি নিরাময়ে খুবই উপযোগী।
ভ্রমণে সঙ্গে রাখতে পারেন শুকনো আদা। এটি আপনার পাচক এনজাইম নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের টিস্যুর পুষ্টিমান বজায় রাখে।
আদার আরেকটি গুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। শরীরের বিভিন্ন ধরনের বাতের ব্যথা ও জয়েন্ট পেইন থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।
এতক্ষণ গুণের বেপারী আদার গুণ সম্পর্কে জানলাম। এবার কীভাবে কখন আদার ব্যবহার করা যেতে পারে তা জেনে নিন-
হজমের সাহায্যকারী হিসেবে খাওয়ার আগে ও পরে এক টুকরো পাতলা আদা লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন।
অতিরিক্ত চঞ্চল বাচ্চা- যাদের রুচি কম বা খাওয়ার প্রতি অনীহা তাদের জন্য আদা এক বড় ওষুধ। এ ছাড়া বড়রাও রুচিবর্ধক হিসেবে আদা তালিকায় রাখতে পারেন।
আদা রান্নার উপকরণ হিসেবে বা কাঁচাও খাওয়া যেতে পারে।
ঠাণ্ডা নিরাময়ে তুলসি, আদা ও মধুর রস একসঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএম/সা/ফেব্রুয়ারি ১,২০১৪)