সোনালী ব্যাংকের ১৬ কোটি টাকা লুট
সোহেলের স্ত্রী টাকাসহ আটক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংক থেকে ১৬ কোটির অধিক টাকা লুটকারী হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেলের স্ত্রী মহিমাকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহিমাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার চিলাকারা এলাকার হেলাল উদ্দিনের মেয়ে মহিমা বেগমকে ২০০৮ সালে বিয়ে করেন সোহেল রানা।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আবদুল মালেক জানান, টাকা দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার পরিকল্পনা করেছিলেন সোহেল। শুক্রবার রাতে সোহেল রানার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার পুলিশ ঢাকায় আসে। বিকেলে ঢাকার জুরাইন এলাকার একটি বাসা থেকে টাকাসহ তার স্ত্রীকে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, সোহেল রানার দেওয়া তথ্যমতে, দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বিকেলে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার স্ত্রী মহিমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সোহেল অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো তর্ক না করেই সবকিছু বলে দেন। তার কথার কিছু অংশের সত্যতা পাওয়া গেছে। তিনি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় সুড়ঙ্গ খুঁড়ে চোরের দল ব্যাংকের স্ট্রং রুমের ভল্টে ঢুকে ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটে নিয়ে যায়। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত রবিবার ব্যাংকে গিয়ে অর্থ লুটের ঘটনাটি বুঝতে পারে। গত মঙ্গলবার ঢাকার শ্যামপুরের নিলয় ভবনের ছয়তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে পাঁচ বস্তা টাকাসহ সোহেল রানা, তার সহযোগী ও ছোট ভাই ইদ্রিস মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে।
(দ্য রিপোর্ট/এনইউডি/জেএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪)