চট্টগ্রামে প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
চট্টগ্রাম অফিস : জেলায় মিছিলের ছবি তোলার সময় প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক জুয়েল শীলের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রর্বতক মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রলীগের কর্মীরা জুয়েল শীলের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে ফেলে এবং তাকে কিল-ঘুষির পাশাপাশি কান ধরে প্রকাশ্যে রাস্তায় উঠবস করিয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জুয়েল শীল দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ‘বুধবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর প্রবর্তক মোড় এলাকায় গিয়ে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি মোটরসাইকেল আটকে দেয়। তারা অ্যাম্বুলেন্সটি ছেড়ে দিলেও মোটরসাইকেল আরোহীকে মারধর করে। এ সময় ছবি তুলতে গেলে তারা আমার ওপর হামলা চালায়।’
জুয়েল শীল আরও বলেন, ‘চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা আমার ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে গালাগাল করে ছবি মুছে ফেলে। আমাকে সবার সামনে আর ছবি তুলবে না বলে স্বীকারোক্তি আদায় এবং রাস্তায় কানধরে উঠবস করায়।’
তাকে সেখানে প্রায় আধাধন্টা আটক করে রাখে তারা। পরে পাচঁলাইশ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে জুয়েল শীলকে উদ্ধার করেছে।
এ ব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সাংবাদিকদের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রথম আলোর একজন ক্যামেরাম্যানকে উদ্ধার করেছে। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
এ ব্যাপারে চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অবরোধের ছবি তোলার সময় ছেলেরা একজন ফটোসাংবাদিককে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। তারা তাকে চিনতে পারেনি। পরে প্রথম আলোর পরিচয় পাওয়ার পর ছেড়ে দিয়েছে।’
ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নিন্দা
জুয়েল শীলের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ফটোসাংবাদিক জুয়েল শীলকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করা হয়েছে এবং ক্যামরা ছিনিয়ে নিয়ে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ফটোসাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনসহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
(দ্য রিপোর্ট/এএসটি/সা/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬)