মো. শামীম রিজভী, ইজতেমার ময়দান থেকে : বিশ্ব মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। প্রতি বছর বিশ্বের লাখো মুসল্লি এই মহাসমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আসেন।

ইজতেমায় মুসল্লিরা আসেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য। আল্লাহর আনুগত্য লাভের জন্য। কিন্তু ইজতেমাকে পুঁজি করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লাভবান হচ্ছেন।

এই ব্যবসায়ীদের তালিকায় আছেন নামকরা জুতার ব্র্যান্ড, খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেলসহ অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা।

‘বাটা’ জুতার জগতে খুবই পরিচিত একটি নাম। ইজতেমা উপলক্ষে বাটার স্থানীয় শো-রুমে ১০% ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাঈদুর নামের এক ক্রেতা দ্য রিপোর্টের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ইজতেমা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে আমি যে স্যান্ডেল ২২০ টাকায় কিনেছিলাম, এখন একই স্যান্ডেলে ২৫০ টাকা মূল্য লেখা। এভাবে ছাড়ের নামে তারা ক্রেতাদের ধোঁকা দিচ্ছে।

ঠিক একইভাবে ইজতেমা উপলক্ষে এপেক্স ৪০%, রাখী সুজ ২০-৩০% ছাড় দিচ্ছে।

অন্যদিকে, খাবার হোটেলগুলো ইজতেমায় ভাল ব্যবসা করে নিচ্ছে। কিছু ভ্রাম্যমাণ হোটেল ইজতেমার ময়দানের সামনে তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, একটি ভ্রাম্যমাণ হোটেলের নামকরণ করা হয়েছে ‘ইজতেমা হোটেল’ নামে। এ ছাড়াও সব খাবারের দোকানে মুসল্লিদের ভিড় থাকায় দামও তুলনামূলক একটু বেশি।

রমরমা এই ব্যবসার দৌড়ে আবাসিক হোটেলগুলোও পিছিয়ে নেই। হোটেল হলিডে ইন, হোটেল চ্যানেল ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য হোটেলের রুম ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি। তাও আবার রুম ভাড়া দেওয়া হচ্ছে শুধু ১২ ঘণ্টার জন্য। অর্থাৎ ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়া পর্যন্ত। এরপরও অনেক মুসল্লি বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে রুম নিয়ে থাকছেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এসআর/এমএআর/এএল/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪)