আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা
আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ তীর
কাওসার আজম ও শামীম রিজভী, বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে : মুসলিম উম্মাহর ঐক্য-সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও সুখ-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হলো তাবলীগ জামাতের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আরবি ও উর্দু ভাষায় মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা জোবায়রুল হাসান। এ সময় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে তুরাগ তীরসহ আশপাশের এলাকা। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে আখেরি মোনাজাত সরাসরি সম্প্রচারের ফলে দেশ-বিদেশের কোটি মুসল্লি বাসা-বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে যে যার মতো করে মোনাজাতে শরিক হন।
সকাল সাড়ে ১০টায় আখেরি মোনাজাত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আধা ঘণ্টা আগে সকাল ১০টায় শুরু হয়। মাত্র ১৮ মিনিট ব্যাপী এ মোনাজাতে মাওলানা জোবায়রুল হাসান মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি কামনাসহ নিজেদের পাপমোচনে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে ইসলামের আলোকে নিজেদের জীবন গঠন এবং সেভাবে জীবনযাপনে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন।
দেশ-বিদেশের প্রায় ৩০ লাখ মুসল্লি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শরিক হন। ১৬০ একর ইজতেমার ময়দান ছাড়িয়ে মুসল্লিদের স্রোত ঠেকে আশপাশের রাস্তাতেও। শুধু রাস্তায় নয়, বাসাবাড়ির ছাদে বসেও মানুষ আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় গত ২৪ জানুয়ারি, শেষ হয় ২৬ জানুয়ারি। চারদিন বিরতি দিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হয়। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হলো।
আখেরি মোনাজাতের আগে বাদ ফজর থেকে হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সা’দ। বয়ানে তিনি দাওয়াতি কাজ হেঁটে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘হেঁটে বেশি মানুষকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া সম্ভব হবে। এতে পায়ে যে ধুলাবালি লাগবে, তা জাহান্নামের আগুনকে ঠাণ্ডা করে দেবে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এসআর/এমডি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪)