বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে থাইল্যান্ডে অস্থিরতা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন সত্ত্বেও সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে থাই নাগরিকরা। সরকার বিরোধীরা ব্যাংকক ও দক্ষিণাঞ্চলের কিছু ভোট কেন্দ্র বন্ধ করে দিলেও অধিকাংশ জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনা্ওয়াত্রার পুয়ে থাই পার্টি নির্বাচনে জয়ের প্রত্যাশা করলেও আইনগত বৈধতা পাওয়ার বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। আর কোরাম সংঙ্কট রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ইংলাক সিনাওয়াত্রা তার ব্যাংককের বাড়ির কাছের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। এরপরই ইংলাক গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে থাইল্যান্ডের জনগণকে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান।
থাইল্যান্ডের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকে কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
আন্দোলন ঠেকাতে জরুরি অবস্থার মধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে পুরো থাইল্যান্ডে।
নিরাপত্তাকর্মীরা বলেছেন, থাইল্যান্ডজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ব্যাংককের নিরাপত্তায় রয়েছে প্রায় ১২ হাজার নিরাপত্তাকর্মী।
ভোটকেন্দ্রগুলো স্থানীয় সময় সকাল আটটায় খোলা হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বেলাতিনটা পর্যন্ত। স্বল্প নির্বাচনী প্রচারণায় কি পরিমাণ ভোট পড়ে তাই এখন দেখার বিষয়।
বিবিসি প্রতিনিধি জোনাথান হেড ব্যাংকক থেকে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা অনেক জায়গাতেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাঁধা দিচ্ছে। অনেক ভোটার নিজেদের কেন্দ্র অবরুদ্ধ দেকে হতাশ হয়েছেন।
৪২ বছর বয়সী ইউপিন পিনটং বার্তা সংস্হা এপিকে বলেন, ‘আমি ভোট দিতে চাই। আমি সহিংসতার ভয় করি না। কিন্তু আমার খুবই খারাপ লাগবে যদি ভোট দিতে না পারি।
সরকার বিরোধী আন্দোলনের কর্মী নিপন কায়েসুক রয়টারকে বলেন আমরা নির্বাচনে বাঁধা দিচ্ছি না বরং স্হগিতের দাবি জানাচ্ছি।
উ্ত্তর ও পূর্বের গ্রামাঞ্চলের ইংলাকারে তীব্র সমর্থনকারীরা নির্বিঘ্নেই ভোট প্রদান করেছেন। (সূত্র : বিবিসি)
(দ্য রিপোর্ট/আরজে/এমডি/জামান/ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪)