ভারত ও মিয়ানমার মাদক তৈরি করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম অফিস : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ নয়, ভারত ও মিয়ানমারই মাদক তৈরি করছে। সেই মাদক সীমান্তপথে ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। এতে নষ্ট হচ্ছে এ দেশের যুব সমাজ।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৭ এর চট্টগ্রামের পতেঙ্গার সদর দফতরে শনিবার দুপুরে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দুটি দেশ থেকে মাদক পাচার রোধে সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিস্তার রোধ, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ মামলা তদন্ত প্রভৃতির পাশাপাশি দেশব্যাপী মাদকের বিস্তার রোধেও এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব কর্মদক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন ধরনের মাদকের অভিযান পরিচালনা করে আসছে।’
র্যাবের এই অভিযান দেশবাসীর কাছে ‘ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে’ এমন দাবি করে মন্ত্রী জানালেন, প্রয়োজন দেশের যেকোনো স্থানে র্যাব অভিযান চালাতে পারবে।
অনুষ্ঠানে র্যাব-৭ এর পরিচালক মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, গত বছরের পয়লা জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩ মাসে র্যাব-৭ প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭৮ লাখ ৫২ হাজার ১৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১,৬৯২ বোতল বিদেশি মদ, ৮৫৭ ক্যান বিয়ার, ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ লিটার দেশি মদ, ২৯৬.২২৬ কেজি গাঁজা, ৮,৩৯৯ বোতল ফেনসিডিল এবং ১.৭০০ কেজি ৫২৯ পুরিয়া হেরোইন আটক করেছে। মাদক ব্যবসা ও মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে আনুমানিক প্রায় ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সমমানের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ হাতে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেএস/এএসটি/সা/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬)