দি রিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : এই বৃষ্টি, এই রোদ। শরতের সময়টাই এমন।আর এ ঋতূর সেরা উৎসব হচ্ছে দুর্গাপূজা।ষষ্ঠী থেকে দশমী—টানা পাঁচ দিন ধরে চলে এই পার্বণ। আর যেকোন উৎসবে পোশাকে ভিন্নতা না থাকলে কী জমে! উৎসবের দিনভেদে থাকবে পোশাকের ভিন্নতা। বাঙালির উৎসব মানে নারীর পরনে শাড়ি আর পুরুষের গায়ে পাঞ্জাবি। এই চিরন্তন পোশাকই আনে উৎসবের আমেজ। অবশ্য তরুণ-তরুণীদের নজর সালোয়ার-কামিজ ও ফতুয়া-জিনসে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সুতি, ভয়েল, দোপিয়ান, মসলিন, গরদ ও বিভিন্ন সিল্কের কাপড়ের শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া এবং সালোয়ার কামিজের সমাহার। সবখানে পোশাকের রঙে লাল-সাদার প্রাধান্য। পাশাপাশি রয়েছে উজ্জ্বল রং—গোলাপি, ফিরোজা, বেগুনি, আকাশি, সবুজ, হলুদসহ হালকা রঙের পোশাকও।
শাড়িতে দেখা গেছে, অ্যাপ্লিক, লেইস, বিডস, এমব্রয়ডারি, ওয়াশ, হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট অর্থাৎ মিশ্র মাধ্যামের কাজ। নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে টেরাকোটা, ঐতিহ্যবাহী নানা ফর্ম, ফুল, পাখি, লতাপাতা ও জ্যামিতিক ধরন। এ ছাড়া টারসেল, কারচুপি ও সিকোয়েন্সের ব্যবহারও রয়েছে। তরুণীদের কামিজে পূজায়ও লম্বা ঝুলের চল। ছেলেদের পাঞ্জাবিতে বরাবরের মতো খাটো ও সেমি লং ডিজাইন চলছে বেশি।
শিশুদের পোশাকে রয়েছে মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, টপস, স্কার্ট, ফ্রক, শাড়ি, ছেলেদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট ইত্যাদি। বাচ্চাদের পোশাকে আরামের দিকটাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রেও প্রাধান্য পেয়েছে উজ্জ্বল ও হালকা রং।

কেনাকাটা জমজমাট টেরি বাজার, বিপণিবিতান, রিয়াজউদ্দিন বাজার, মিমি সুপার মার্কেট ও স্যানমার ওশান সিটিতে। বিভিন্ন শ্রেণীর সব বয়সী ক্রেতা এসব বিপণিকেন্দ্রে পূজার কেনাকাটা সারছেন। ভিড় বেশি এক ছাদের নিচে সব পোশাকের দোকান মাসুম ক্লথ স্টোর, পরশমণি, অর্ণব, মনে রেখ, জাভেদ, বিগ বাজার প্রভৃতিতে।
টেরি বাজারের পরশমণিতে কেনাকাটা করতে আসা চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রী অঞ্জনা ঘোষ বলেন, ‘মূলত ঈদের সময় যেসব ডিজাইন এসেছে ঘুরেফিরে সেগুলোই। তার পরও দশমীর জন্য জমকালো কাজের সালোয়ার-কামিজ কিনেছি। অন্য দিনের জন্য ফতুয়া দেখছি।’
এদিকে বুটিক হাউস দেশী দশ, আড়ং, শৈল্পিক, নবরূপা পিণন, মিয়াবিবি, সালসাবিল, ডলস হাউস, শ্রেয়া-মুনমুনস, নক্ষত্র, বাঙালি বাবু, রমনীয়া ও চারু চট্টগ্রামেও ঢুঁ মারছেন ক্রেতারা। উৎসবের আনন্দের সঙ্গে এভাবেই সমান্তরালে চলছে বিকিকিনি।

(দি রিপোর্ট ২৪ডটকম/এইচএস/এইচএসএম/অক্টোবর ০৭, ২০১৩)