সাবেক এমপি এ্যানীসহ ৩ জনের সম্পদের অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ
হাসিব বিন শহিদ, দ্য রিপোর্ট : লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ তিনজনের অবৈধ সম্পদ খোঁজে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক খন্দকার খলিলুর রহমান, খুলনা-৫ আসনের সাবেক এমপি ও জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ারের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ও আর এস আর বিজনেস লাইনার্সের মালিক রেজাবুদ্দৌলাহ চৌধুরীর বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য উপ-পরিচালক আব্দুস ছাত্তারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দুদকে এলে কমিশন তা পরীক্ষা করে গত সপ্তাহে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা তাদের সম্পদের হিসাব নিতে পরবর্তী সময়ে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করবেন।
এ ছাড়া নবম সংসদের আরও সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপির অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ইতোমধ্যেই অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এদের মধ্যে পাঁচজন দশম সংসদের সদস্যও রয়েছেন।
এরা হলেন- কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, পটুয়াখালী-৪ আনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী-৪ আসনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এনামুল হক, ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বার ও সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এসবি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪)