‘শিল্পায়নে বিশেষ নজর দেওয়া হবে’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিগত সরকারের গৃহীত উন্নয়নমুলক কাজগুলোকে তরান্বিত করার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশকে শিল্পায়নের জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এ জন্য যেসব বিসিক পার্ক এলাকায় প্লটের চাহিদা বেশি, সে সব শিল্পপার্ক সম্প্রসারণ করার জন্য নতুন করে জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে।
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) নেতাদের এক বৈঠকে রবিবার দুপুরে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ সব কথা বলেন।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ বৈঠক করেন তিনি।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সবুর খান, সহ-সভাপতি খন্দকার শহিদুল ইসলাম, পরিচালক ওসামা তাসির, হোসেন এ শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের প্যাকেট করতে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের আহ্বান জানান। এ ছাড়া পর্যটন শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য পুটুয়াখালীতে বিমানবন্দর স্থাপন, সমুদ্র উপরিভাগে নিজস্ব উদ্যোগে নতুন নতুন গ্যাসকূপ খনন, সমুদ্রসীমানায় সাবধানতার সঙ্গে ১৪টি গ্যাসকুপ খনন করার জন্য শিগগিরই আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে জানান তিনি। এ সব কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি পরনির্ভশীলতা কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বৈঠকে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে শিল্পখাতের সার্বিক উন্নয়নে বেশ কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়। এ সব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- এসএমই রেটিং, আদর্শ এসএমই শুমারি পরিচালনা ও এসএমই ইনকিউবিশন সেন্টার এবং উদ্ভাবন সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলোকে আরও শক্তিশালী করে তাদের সার্টিফিকেট ইস্যু করার ক্ষমতা প্রদান, ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প নীতিমালা-২০১২’ খসড়াটি দ্রুত পাস করার সুপারিশ করে ঢাকা চেম্বার।
(দ্য রিপোর্ট/এইউ/এসবি/শাহ/ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪)