চবিতে ৯ মাস ধরে নেই উপ-উপাচার্য
ইমরান হোসাইন, চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাড়ে নয় মাস ধরে নেই উপ-উপাচার্য। ২০১৫ সালের ২ জুন প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে উপ-উপাচার্য পদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর থেকে এ পদে আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ফলে উপ-উপাচার্যের সকল কাজ এখন উপাচার্যকে একাই সামাল দিতে হচ্ছে। একই সঙ্গে উপ-উপাচার্য পদটি দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় ক্ষমতার একেন্দ্রীকরণ হচ্ছে বলেও মনে করছেন শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৫ সালের ২ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৫ জুন। তিনি দুই বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাড়ে নয় মাস পার হলেও শূন্য হওয়া উপ-উপাচার্য পদে এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে উপ-উপাচার্য ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিনেট, সিন্ডিকেট, ফাইন্যান্স কমিটি, একাডেমিক কমিটিসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ সভা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘উপ-উপাচার্য পদটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপ-উপাচার্য থাকলে বিশ্বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে গতিশীলতা আসে। সেই সঙ্গে কাজের ভারসাম্যও থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও আইন অনুযায়ী একাধিক উপ-উপাচার্য নিয়োগ দিতে পারে সরকার।’
এ বিষয়ে চবির কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য রিপোর্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এটি কোনোভাবেই সুখকর নয়। উপ-উপাচার্য না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতার একেন্দ্রীকরণ হচ্ছে।
শিক্ষকরা অতিদ্রুত উপ-উপাচার্য পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, উপ-উপাচার্য পদটি দীর্ঘদিন ধরে খালি থাকায় অনেকেই এ পদের জন্য লবিং করছেন বলে জানা গেছে। তবে লবিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নিয়োগ-প্রত্যাশীরা।
উপ-উপাচার্য পদে সম্ভাব্য যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন— বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, সিন্ডিকেট সদস্য ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরান হোসেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া ও ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ। তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মধ্যে অনেকে এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এমএআর/সা/ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬)