দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে আবেদনের সময় চতুর্থ দফায় আগামী ৩১ মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সময় বাড়ানোর ফলে বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে আরও বেশি আবেদন জমা পড়বে বলে মনে করছে তহবিল তদারকি কমিটি।

রবিবার দুপুরে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পুনঃঅর্থায়ন তহবিল তদারকি কমিটির আহ্বায়ক সাইফুর রহমান। এ ছাড়া বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইসিবির মহাব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।


বৈঠক শেষে তহবিল তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান দ্য রিপোর্টকে জানান, গত এক মাসে বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সময় বাড়ানো হলে আরও আবেদন জমা পড়বে। এ জন্য চতুর্থ দফায় সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ১৯টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ২০টি ব্রোকারেজ হাউসের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন। এতে মোট ৩৯৯ কোটি ১১ লাখ টাকার জন্য আবেদন করা হয়েছে।


সাইফুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে ৬০টি কোম্পানি বা হাউসকে বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়েছে। এর বিপরীতে ৩ হাজার ৩০ জন বিনিয়োগকারী ৮৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার আবেদন করেছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে ওই ৭ প্রতিষ্ঠান টাকা উত্তোলন করে বিনিয়োগকারীদের দিতে পারবে।

এর আগে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে তৃতীয় দফায় আবেদনের সময় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আর দ্বিতীয় দফা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময় নির্ধারিত থাকলেও প্রথম দফায় তা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৩১টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস গঠিত তহবিলের সহায়তা পেতে আবেদন করে। এ সব প্রতিষ্ঠানের মোট ৭ হাজার ৩৮০ জন বিনিয়োগকারী প্রায় ২১৯ কোটি টাকার জন্য আবেদন করেন।

ভয়াবহ ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা দিতে ৯০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করে সরকার। তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হলেও বিনিয়োগকারীরা আশানুরূপ সাড়া দেননি। এ অবস্থায় চতু্র্থ দফায় সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকার ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বিশেষ স্কিমের ঘোষণা দেয়। সরকারি ঘোষণার প্রায় দুই বছর পর গত ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃঅর্থায়নের প্রথম কিস্তি বাবদ ৩০০ কোটি টাকা আইসিবিকে দেয়।


(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডব্লিউএন/সা/ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৩)