চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি স্বর্ণের দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৩শ’ ভরি স্বর্ণ লুট করেছে ডাকাত দল। ককটেল ফাটিয়ে ও গুলি ছুঁড়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি  করে দোকান লুট করা হয়। এসময় ককটেলের আঘাতে ২ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার মাগরিবের নামাজ চলাকালে উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার মসজিদ গলির শামীম জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন-বারইয়ারহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো.শাহজাহান ও স্কুলছাত্র মো. অনিক। আহতদের বারইয়ারহাট কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি মাইক্রোবাস থেকে ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল বারইয়ারহাট মসজিদ গলির সামনে এসে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ডাকাতদের কয়েকজন শামীম জুয়েলার্সের ভেতর ঢুকে র্স্বণ লুট করতে থাকে। পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির ঘটনা প্রচার করতে থাকলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। একপর্যায়ে ডাকাত দল লুট করা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

শামীম জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী সাহাবুদ্দীনের জামাতা মো. ছোটন জানান, মাগরিবের নামাজের সময় তার স্ত্রীর বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাপ্পী ও একজন কর্মচারী দোকানে ছিলেন। নামাজের কারণে মার্কেটও ফাঁকা ছিল। এসময় ডাকাত দল দোকানের সামনে নেমে ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। কয়েকজন ডাকাত দোকানে ঢুকে সাইফুল ইসলাম ও কর্মচারীকে মারধর করে দুইটি ব্যাগে করে প্রায় সাড়ে ৩শ’ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ডাকাতির কথা মসজিদের মাইকে প্রচার করতে থাকলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ডাকাতরা একটি চটের বস্তা দোকানে ফেলে গেছে। পুলিশ ওই বস্তাটি উদ্ধার করেছে।

বাজারের ব্যবসায়ী আলী আহসান দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এর আগে বারইয়ারহাট বাজারের রূপসী জুয়েলার্স ও মদিনা জুয়েলার্স ডাকাতির ঘটনায় কোনো ক্লু উদ্ধার হয়নি। ফলে বারইয়ারহাট বাজারে একের পর এক দোকান ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশও এক দুই দিন তৎপরতা দেখিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করে।

জোরারগঞ্জ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল করিম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দোকান থেকে কি পরিমাণ স্বর্ণ লুট হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোকানের সিসি ক্যামরার ভিডিও ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার ও ডাকাত দলকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএ/এনআই/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬)