যশোর অফিস : যশোরে একটি ছাত্রমেস ব্যাপক ভাঙচুর করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ মেসটি থেকে সাতজনকে আটক করে। পুলিশের দাবি, এরা ছাত্রশিবির ক্যাডার। নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল বলে খবর পেয়ে তাদের আটক করা হয়। ঘটনার সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে।

তবে আটকদের কেউ ছাত্রশিবির নেতাকর্মী নয় বলে দাবি সংগঠনটির। তবে ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল- এমন খবরের ভিত্তিতে শনিবার গভীর রাতে এমএম কলেজের পাশে খড়কি এলাকার ওই ছাত্রমেসে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রাবাসের বাসিন্দারা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ এ সময় ৫-৭ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। ছাত্রাবাসটি থেকে পুলিশ মোট সাতজনকে আটক করে। এরা হলেন, এমএম কলেজের অনার্স বিভিন্ন বিষয়ের ছাত্র মাসুম বিল্লাহ, কামরুজ্জামান, আরিফুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, মাহবুবুল হাসান, আবদুল্লাহ ও সুমন।

তবে ওই মেসের বাসিন্দারা বলছেন, পুলিশ গভীর রাতে সেখানে অতর্কিতে উপস্থিত হয়ে তাণ্ডব চালায়। একতরফা এই আক্রমণে মেসবাড়িটি এখন ধ্বংসপ্রায়। ঘরের দেওয়াল, দরজা ছাড়াও পুলিশ টিভি, আসবাবপত্র, বাইসাইকেলসহ ঘরের মূল্যবান মালামাল কুপিয়ে ও ভেঙে ফেলে।

কোতোয়ালি থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আটক ছাত্ররা ইসলামী ছাত্রশিবির ক্যাডার।

ছাত্রশিবির যশোর জেলা (পশ্চিম) শাখার সভাপতি মহিউদ্দিন জানান, ধৃতরা তাদের সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। আটক ছাত্রদেরও দাবি, তারা কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। পুলিশ হঠাৎ ছাত্রাবাসে চড়াও হয়ে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এবং তাদের আটক করে।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪)