দুদকের ২৮(গ) ধারা বাতিলে হাই কোর্টে রিট
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সংশোধিত আইন ২০১৩-এর ২৮(গ) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ জনস্বার্থে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রবিবার এ রিট দায়ের করেন।
রিটে দুদক আইনের ২৮(গ) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশোধিত আইনের ওই ধারাটি বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়।
রিটে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি দুদক আইনের ৩২(ক) উপধারা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাই কোর্ট। রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটকারী আইনজীবী ড. আকন্দ বলেন, ‘কমিশন বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা সাধারণ নাগরিক যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে আইনের ২৮(গ) ধারার (২)-এর ১ উপধারায় তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন এবং কমপক্ষে দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই ধারার ফলে মামলা দায়েরকারী কর্মকর্তা এবং অভিযোগকারী অভিযোগ করতে আগ্রহ হারাবে। এ আইন ব্যবহার করে অভিযোগকারীকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা তথ্যদাতা প্রতিপন্ন করে ফাঁসানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।’
ড. আকন্দ বলেন, ‘২০০৪ সালের আইনে সুস্পষ্টভাবে কমিশনের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এই আইনের ২০(১) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীনের অপরাধ কমিশনের তদন্তে যোগ হবে। দুদক আইনের ২৪ ধারায় দায়িত্ব পালনে কমিশনকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৩’ সংসদে পাস হয়।
(দ্য রিপার্ট/এসএ/এনডিএস/সা/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪)